অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই, কড়া হাতে COVID মোকাবিলা করা হয়েছে: কেন্দ্র

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ‍্যে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অক্সিজেনের অভাবে একাধিক হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছে, এমন নজিরও তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব‍্য
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব‍্য
Published on

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে কারো মৃত্যু হয়নি। মঙ্গলবার রাজ‍্যসভায় একথা জানলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। অপরদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একাধিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার কড়া হাতে করোনার মোকাবিলা করেছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের তীব্র ঘাটতির জন্য হাসপাতালে এবং রাস্তায় অনেক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে কিনা সেই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য রাজ‍্যের বিষয়। রাজ‍্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রকে জানায়। অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর কথা কোনো রাজ‍্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আলাদাভাবে উল্লেখ করেনি।

অপরদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব‍্য জানিয়েছেন, "আমরা সমস্ত ভারতীয়দের জন্য মহামারী মোকাবিলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করেছি। আমরা এখানে কোনো রাজনীতি করিনি।"

তিনি বলেন মহামারীর শুরুতে কোভিড টেস্টের জন্য ভারতের কাছে একটি পরীক্ষাগার ছিল না। পিপিই কিট উৎপাদনের পরিকাঠামোও ছিল না দেশের। মাসব্যাপী চলা লকডাউনকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, "মহামারী মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির জন্য লকডাউন প্রয়োজন ছিল।"

তিনি আরো বলেন, "আমরা কেবল পরিকাঠামোই তৈরি করিনি, যখন বিশ্বের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনিনের মতো ওষুধের প্রয়োজন ছিল তখন ১২৩ টির বেশী দেশে আমরা তা প্রেরণ করেছি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টও ভারতের সহায়তা স্বীকার করেছেন।"

কোভিডের কারণে মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা স্বীকার করছি কোভিডের কারণে দেশে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত হবে। এটি গোপন করার কোনো কারণ নেই। তবে সমস্ত মৃত্যুর জন্য একজন ব‍্যক্তির ওপর দোষ চাপানোর ঠিক নয়।"

প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ‍্যে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে একাধিক হাসপাতাল নোটিশ দিয়ে রোগী ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছে, এমন নজিরও তৈরি হয়েছে। অক্সিজেন ও বেডের অভাবে হাসপাতালের বাইরেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই দৃশ্যও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in