
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা একদিকে যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা, হাসপাতালে বেড না থাকার সংখ্যা। পাশাপাশি গত বেশ কয়েকদিন ধরে টিকারও অভাব দেখা দিয়েছে। যার জন্য গত ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে টিকা দেওয়া হবে বলে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি।
আচমকা কোভিড ঝড়ে টিকাকরণে সমস্যা তৈরি হয়। এত ভ্যাকসিন পাওয়াও যায়নি। ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিত করতেই টিকা নীতিও তৈরি করা হয়। রবিবার সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে পরিমাণ টিকাকরণ প্রয়োজন, তা সরবরাহে ঘাটতি এবং দাম নিয়ে বৈষম্যের দরুন কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন কেন্দ্র আদালতে একটি হলফনামা পেশ করে। তাতে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ২১ ধারা মেনেই বিশেষজ্ঞরা, রাজ্য সরকার এবং ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তৈরি হয় টিকা নীতি।
সেই হলফনামায় সাফ জানানো হয়েছে, ‘অতিমারি নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। জনসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালত সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে।' প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেন পাঠানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার করোনা চিকিৎসায় বিভিন্ন ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন তিনি।
চিঠিতে মমতা অনুরোধ করেছেন, গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। আমরা সকলেই নিজেদের মতো করে এই কঠিন পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছি। ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ ব্যবস্থা যাতে ঠিকঠাক বজায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বহু বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এজেন্সি এবং বহু ব্যক্তি চিকিৎসা সামগ্রী কেনার ব্যাপারে সরকারকে সাহায্য করছে। ওই সংগঠনগুলির দাবি, করোনা চিকিৎসার ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন