দলীয় বিধায়কদেরই কটাক্ষের শিকার হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ত্রিপুরাতে কোনো গণতন্ত্র নেই বলে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিষ সাহা। শুধু তাই নয়, রাজ্যে আগামীকাল হওয়া পুর নির্বাচনে শাসকদলের গুন্ডামির বিরুদ্ধে জনগণকে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে সংবাদমাধ্যমের সামনে আগরতলার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, "যাঁরা কমিউনিস্টদের অপসারণ করতে এবং বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন, নিজেদের অর্থ ব্যয় করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই এখন রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হিংসা হচ্ছে। হাজার হাজার বিজেপি কর্মীরা আজ মনে করছেন, এই গুন্ডারা এবং তাদের গুন্ডামির জন্য বিজেপি এবং দলের জাতীয় নেতাদের বদনাম হচ্ছে। উন্নয়নের মতো ইস্যুতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিবর্তে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং চরিত্রহত্যা চলছে।"
সুদীপ রয়বর্মণ, যিনি বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভায় প্রথমে জায়গা পেলেও পরে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়, তিনি বলেন, "জনগণের জীবন এবং সম্পত্তি বাঁচাতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। রাজ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই। রাজ্যে অঘোষিত যুদ্ধ চলছে। এই গুন্ডামি প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করছি আমি। এঁরা বিজেপি নয়। এঁরা একটি নোংরা খেলা খেলছে।"
বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে একজন প্যারাসুটেড প্যারাট্রুপার নেতা পাঠানো হয়েছে, যাঁর রাজ্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। ইনি আসলে মানসিকভাবে বিকৃত। মুখ্যমন্ত্রীর একটি ব্যক্তিগত এজেন্ডা রয়েছে। শিশুসুলভ নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, আসল শত্রুকে চিনতে পারছেন না। ত্রিপুরায় আবার কমিউনিস্টরা যাতে পা রাখতে পারে, সেজন্য সাহায্য করছেন।
এই সাংবাদিক বৈঠক করার সময় সুদীপ রায় বর্মণের পাশে ছিলেন ত্রিপুরার অপর এক বিধায়ক আশিষ সাহা। তিনিও সুদীপ বর্মণের সমস্ত অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পুরসভা নির্বাচনের একদিন আগে দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার এই মন্তব্যে তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।