

হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে কংগ্রেস, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কৃষক-বিরোধী সরকারকে ফেলতে রাজ্যের মানুষ ও বিধায়কদের এই আবেদন করা হয়েছে।
হরিয়ানার বিরোধী কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা এই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন আগামী ১০ মার্চ। তিনি জানান, এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরই বোঝা যাবে কোন বিধায়ক সরকারের পাশে রয়েছে, আর কোন বিধায়ক কৃষকদের পাশে রয়েছে।
সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে, বিধায়কদের কাছে চিঠি লিখে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা যেন পৌঁছনো হয়। কৃষক নেতা দর্শন চাল সিং জানিয়েছেন, বিজেপি-জেজেপি জোট সরকার আসলে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে ও কৃষকদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। যারা দিল্লি সীমান্তে ১০০ দিনের বেশি ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন সাধারণ মানুষের উচিত বিজেপি-জেজেপি বিধায়কদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলা। এতে খট্টর সরকারকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে। এরফলে হরিয়ানার মানুষ দেখাতে পারবেন যে তারা কৃষকদের পাশে রয়েছেন। যাদের আন্দোলনকে 'শিক্ষা' দিতে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৯০ সদস্যের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রয়েছে বিজেপি-জেজেপি জোট। যার মধ্যে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ৪০। কংগ্রেসের ৩১। জেজেপির ১০। নির্দল ৭। এছাড়াও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল এবং হরিয়ানা লোকহিত পার্টির ১ জন করে বিধায়ক আছেন। সূত্রের খবর, জেজেপির বহু বিধায়ক কৃষি আইন বাতিলের পক্ষে। যদিও তাঁরা খোলাখুলি এখনও কিছু বলছেন না। সম্প্রতি, খট্টর সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দুই বিধায়ক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন