প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন অভিযোগ করেছেন যে, তিনি সহরসা কারাগারে ১৪ বছরের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মেয়াদ পূর্ণ করার পরেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বেআইনিভাবে তাঁর জেলের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সহরসা জেলা আদালতে শুনানির সময় সাংবাদিকদের আনন্দ মোহন বলেন, বলেন, “নীতীশ কুমার যদি আমাকে এতোই ঘৃণা করে থাকেন, তাহলে আমাকে গুলি করে হত্যা করুক, নইলে জেলের ভিতরের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিক। তিনি তাঁর সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন।”
তাঁর দাবি, “আমি সাড়ে পাঁচ মাস আগে ১৪ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পূর্ণ করেছি। তারপরও নীতিশ কুমার আমাকে জেল থেকে বের হতে দিচ্ছেন না। এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে ব্যবহার করে আমার সেলে মোবাইল রাখার অভিযোগে ফাঁসাচ্ছেন।”
তিনি বলেন – “জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহরসার এসপি কারাগারে অভিযান চালিয়ে আমার সেল থেকে ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন।” তিনি আরও বলেন – “আমি ইতিমধ্যে ১৪ বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পূর্ণ করেছি, আমি কেন এই সুযোগ নিতে যাব? আমাকে কারাগারে আটকে রাখার জন্য মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, আনন্দ মোহন ১৯৯৪ সালে তৎকালীন গোপালগঞ্জের ডিএম জি কৃষ্ণাইয়া হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। নিম্ন আদালত তাকে ২০০৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু সেই রায় পাটনা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন আনন্দ মোহন। হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের বদলে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। কারণ, জি কৃষ্ণাইয়াকে জনতা পিটিয়ে হত্যা করেছিল এবং সেখানে আনন্দ মোহন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আনন্দ মোহন তৎকালীন মুজাফফরপুরের ডন ছোটন শুক্লার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৯৯৪ সালে ছোটন শুক্লা নিহত হলে আনন্দ মোহন শেষকৃত্যে অংশ নেন। ছোটন শুক্লার সমর্থকরা যখন তাঁর মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সেখানে একটি লালবাতির গাড়িকে আসতে দেখে। তৎক্ষণাৎ হামলা চালানো হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন তৎকালীন গোপালগঞ্জের ডিএম জি কৃষ্ণাইয়া।
- With IANS inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।