

চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Election)। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। এবার ধনী-গরীব নির্বিশেষে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে মাসে ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেওয়ার ঘোষণা করলেন নীতিশ কুমার। আগামী ১ আগস্ট থেকে এই পরিষেবা কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, এর ফলে বিহারের ১ কোটি ৬৭ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন নীতিশ কুমার। সেখানে তিনি জানান, জুলাই মাসের বিলে ১২৫ ইউনিট বা তার কম বিদ্যুৎ খরচে কোনও টাকা দিতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী পোস্টে লেখেন, “একদম শুরুর দিন থেকে আমরা সুলভ মূল্যে প্রত্যেককে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১ অগস্ট থেকে ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত খরচে কাউকে বিদ্যুতের জন্য টাকা দিতে হবে না"।
এছাড়া নীতিশ কুমার আরও আশ্বাস দিয়েছেন, তাপবিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আগামী তিন বছরে বিহারে আরও সৈরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, 'কুটির জ্যোতি যোজনা' প্রকল্পে কোনও গরিব পরিবার বাড়িতে সৌর প্রকল্প বসালে তার খরচ বহন করবে সরকার।
তবে এটাই প্রথম নয়। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিহারের মানুষের জন্য এর আগেও একাধিক জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করেছেন নীতিশ কুমার। সম্প্রতি বিধবা এবং বয়স্কদের মাসিক পেনশন ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এক ধাক্কায় ৭০০ টাকা ভাতা বাড়ানো হয়েছে। জুলাই মাস থেকেই বিহারে কার্যকর হয়েছে এই ভাতা। এছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ জুলাই নীতিশ কুমার ঘোষণা করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা যোজনা’ প্রকল্পে যাঁদের কারিগরি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বা ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং’ রয়েছে কিংবা যাঁরা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের ইন্টার্নশিপ বাবদ প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আইটিআই-এর ডিগ্রি রয়েছে বা যাঁরা ডিপ্লোমা পাশ করেছেন, তাঁরা মাসে ৫০০০ টাকা পাবেন। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণেরা পাবেন মাসিক ৬০০০ টাকা।
এছাড়া যারা বিহারের অন্য জেলায় ইন্টার্নশিপ করবেন, তাঁদের অতিরিক্ত ২০০০ টাকা দেওয়া হবে। অন্য রাজ্যে কাজ করলে অতিরিক্ত ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে। ইন্টার্নশিপের মেয়াদ হবে তিন থেকে ১২ মাস।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন