

রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানেও রেহাই পেলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এদিন সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই নীতিশ কুমারের প্রতি আক্রমণ শানান দলের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। এদিন লালুপ্রসাদ বলেন – নীতিশ কুমার চিরকাল মন্ত্রীত্বের জন্য ব্যাকুল।
আরজেডি-র সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে এক ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে লালুপ্রসাদ বলেন – ১৯৮৯ সালে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং-এর মন্ত্রীসভায় আমিই নীতিশ কুমারকে জায়গা করে দিয়েছিলাম। তাঁকে কৃষি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিলো। ওটাই ছিলো কেন্দ্রে নীতিশ কুমারের প্রথম মন্ত্রিত্ব।
এদিন নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে লালুপ্রসাদ যাদব বলেন – আমি মরে গেলেও নিজের আদর্শ থেকে সরে আসবো না।
তিনি আরও বলেন, অন্তত পাঁচ জনকে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে সহায়তা করেছি। আমি সবসময় কিংমেকার হয়েও নিজের কথা কখনও ভাবিনি।
তিনি আরও বলেন – ১৯৯০ সালের আগে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিলো। তখন কোনো পিছিয়ে পড়া জাতের মানুষকে উচ্চবর্ণের মানুষরা চেয়ারে বসতে দিতো না, সাইকেল চড়তে দিতো না। বাসে বা ট্রেনে কেউ আসনে বসলে তাদের গাড়ির পিছনে চলে যেতে বাধ্য করা হত। এই লালুপ্রসাদ সরকারই পিছিয়ে পড়া মানুষকে শক্তি জুগিয়েছে, উচ্চবর্ণের মানুষের সঙ্গে একসাথে দাঁড়ানোর অধিকার দিয়েছে।
লালুপ্রসাদ বলেন, লড়াইয়ের সময় আমাদের কাছে জুতো বা চপ্পল কিছুই ছিলো না। আমরা এখনও গরিব মানুষের পক্ষে লড়াই করি। জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের সময় কিছু মানুষ গুজব রটিয়েছিলো লালুপ্রসাদকে গুলি করে মারা হয়েছে। এই গুজব জেপি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন