এবার নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এই অপপ্রচার রাজনৈতিক লাভের চেষ্টা বলে দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে গড়করি লেখেন, ‘আমার বক্তব্য বিকৃত করে কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে এই ঘৃণ্য প্রচার চলছে রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে।‘
একইসঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানান, ’এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারে আমি কিছু বলছি না। তবে, সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, এই ধরনের চক্রান্ত চলতে থাকলে, মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে তাদের আইনের আওতায় আসবে সরকার এবং দল। কোনও দ্বিধা করা হবে না।‘
তবে, সংবাদমাধ্যমে এই অপপ্রচারের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, টুইটারে তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতন গডকরি। কেবল, টুইটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা এবং দলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলকেও ট্যাগ করেছেন গডকরি।
গত বুধবারই, কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন স্বয়ং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তিনি বলেন, এই সরকার ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জানে না। এটাই এই সরকারের সবথেকে বড়ো সমস্যা।
এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের সমালোচনা করে গড়করি বলেন, ‘যে কোনো নির্মাণের ক্ষেত্রে সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়ই সবচেয়ে বড় পুঁজি, সম্পদ এবং প্রযুক্তির থেকেও বড়। এটাই বুঝছে না বর্তমান সরকার। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সরকার সময়মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।‘
সম্প্রতি বিজেপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন গড়করি। তারপরই প্রকাশ্যে সরকারের এই সমালোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। বুধবারের সেই রেশ না কাটতেই, তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ এনেছেন মোদীর মন্ত্রীসভার সদস্য গডকরি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে নীতিন গড়করি মোদী মন্ত্রীসভার শুধুমাত্র একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী নন। একাধারে তিনি দলের প্রাক্তন সভাপতিও। সেক্ষেত্রে, বিজেপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে তাঁর বাদ পড়া অনেকের কাছে বিস্ময়ের বিষয় হয়েছে।
সাধারণত প্রাক্তন সভাপতিদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য করা হয়। যেভাবে, নতুন কমিটিতে পুনরায় জায়গা পেয়েছেন দলের আরেক প্রাক্তন সভাপতি তথা দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সেখানে কেন গড়করিকে বাদ দেওয়া হল, তা স্পষ্ট করেননি নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন