
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা তথা সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমারের জেডিইউ-তে যোগদানের সম্ভাবনা সংক্রান্ত খবরটি সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। এই মর্মে আজ একটি বিবৃতি জারি করেছে সিপিআই। প্রসঙ্গত, সোমবার জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাত করেন কানহাইয়া কুমার। এরপর থেকেই একাধিক সংবাদমাধ্যমে জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতার জেডিইউতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে খবর করা হয়েছে।
সিপিআইয়ের জাতীয় সচিবালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে - রাজ্যের মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাতের পর দৈনিক সংবাদপত্রের একটি বড় অংশ কানহাইয়া কুমারের জেডিইউতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। এই খবরটি একেবারেই ভিত্তিহীন। সিপিআই বিধায়ক সূর্যকান্ত পাসওয়ানকে সাথে নিয়ে তাঁর বিধানসভা এলাকার কিছু সমস্যা এবং উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন কানহাইয়া কুমার। সিপিআই এবং কানহাইয়া কুমারকে বদনাম করার কিছু সংবাদমাধ্যমের এই নোংরা প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই।
সোমবার জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর সাথে কানহাইয়া কুমারের সাক্ষাতের পরই একাধিক সংবাদমাধ্যমে তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে খবর করা হয়। সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি করে সিপিআই নেতৃত্বের সঙ্গে কানহাইয়ার সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এর একাধিক কারণও তুলে ধরেছে মিডিয়া। প্রথমত, গত ১ ডিসেম্বর হায়দারাবাদ সিপিআইয়ের অফিস সচিব ইন্দু ভূষণ পাটনা সফরে এলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কানহাইয়া। এতে দল তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক সঙ্কট, কৃষক আন্দোলন, উমর খালিদ সহ একাধিক সমাজকর্মীর গ্রেফতারি সহ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনায় সেরকম কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি কানহাইয়া কুমারকে। কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে একাধিকবার দিল্লিতে তাঁকে ডাকা হলে, সেই ডাকে সাড়া দেননি তিনি বলে দাবি সংবাদমাধ্যমগুলির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন