

নয়াদিল্লি, ১৪ মার্চ: প্রায় ১০ লাখ পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক কর্মীরা ১৫ মার্চ বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ধর্মঘটে সামিল হবেন। এখন কথা হচ্ছে, কেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন? চলতি বছরে বাজেট ঘোষণা করার সময়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকী, এলআইসির শেয়ারও বিলগ্নিকরণের কথা বলেছেন তিনি। এই বেসরকারিকরণের প্রতিবাদেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা।
কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের 'অসৎ ইচ্ছা'র কারণে পাবলিক সেক্টর এন্টাপ্রাইসের কর্মীরা ভুক্তভোগী হবেন, তা মেনে নিতে না পেরেই এই প্রতিবাদ ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়েছে। শুধু ব্যাঙ্ক কর্মীরাই নয়, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভুক্তভোগী হতে চলেছেন সাধারণ মানুষও। তাঁদের মতে, বেসরকারিকরণ হলে সংস্থার পুরো লাভের অঙ্কই বাইরে চলে যাবে। সাধারণের সুবিধার জন্য আর কিছুই পরে থাকবে না। আর এই 'কর্পোরেট লুট'-এর প্রতিবাদেই কৃষকদের পাশাপাশি সোচ্চার হয়েছে অন্যান্য কর্মী সংগঠনই।
কৃষি ক্ষেত্রে এই বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ১০০ দিনের বেশি ধরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। গত ৪ মার্চ দিনটিকে 'বেসরকারিকরণ বিরোধী' ও 'কর্পোরেট বিরোধী' দিন হিসেবে উল্লেখ করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা এক জমায়েতের আয়োজন করেছিল। বিএসএনএল এবং অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের তরফেও কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া, ভারত পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, শিপিং কপোর্রেশন লিমিটেড প্রমুখ সংস্থা ইতিমধ্যেই বেসরকারিকরণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে নীতি আয়োগ প্রায় ১০০ টি সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণের জন্য তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন