
কোভিড এবং ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির কাছে হাজিরা দিতে পারবেন না তিনি। এই মর্মে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডিকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। হাজিরার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। ইডির তরফে সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে কংগ্রেস নেত্রীকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি।
হাজিরা দেওয়ার সময় চাওয়া প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ নিজের ট্যুইটারে জানিয়েছেন, "কোভিড এবং ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, তাই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হাজিরার জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছেন সোনিয়া গান্ধী।"
এরপরই জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সোনিয়াকে নোটিশ পাঠাল ইডি।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সম্পূর্ণ হোম আইসোলেশনে ছিলেন সোনিয়া। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার ফলে ১২ জুন তাঁকে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত সোমবার সোনিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে এবং বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে ইডি। গত ৮ জুন ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেই সোনিয়া গান্ধী কোভিড আক্রান্ত হন। ইডির তরফে তাঁকে ফের ২৩ জুন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আজ ফের সময় চেয়েছেন সোনিয়া। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে ইতিমধ্যেই পাঁচদিন মোট ৫০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে তলবের ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ-ত্রুটি গুলি জনসমক্ষে না আসে। এই পুরো পদক্ষেপটিকে "রাজনৈতিক প্রতিহিংসা" বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন