

লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলো। এফআইআরে অশিষ মিশ্র ছাড়াও আরো কয়েকজনের নাম রয়েছে। গতকাল অজয় মিশ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তাঁর ছেলের গাড়ি বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চার কৃষক ও এক সাংবাদিক সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অজয় মিশ্রের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষকরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিলেন। গত মাসের শেষের দিকে দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলনকে কটাক্ষ করে অজয় মিশ্র বলেছিলেন, "১০ থেকে ১৫ জন লোক মিলে বিক্ষোভ করছেন। এঁদের লাইনে আনতে দু'মিনিট সময় লাগবে।"
গতকাল লখিমপুর খেরির তিকুনিয়ার বানভির গ্রামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্যের। কয়েক হাজার কৃষক সকাল থেকেই হেলিপ্যাড ঘেরাও করে রেখেছিলেন। কিন্তু কৃষকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে সড়কপথে লখিমপুর আসেন কেশব মৌর্য্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁরা তিকুনিয়া পৌঁছতেই কৃষকরা কালো পতাকা হাতে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তখনই একটি গাড়ি যাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর আত্মীয়রা ছিলেন, সেটি কৃষকদের ওপর দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই এক কৃষকের মৃত্যু হয়। বাকিরা লখিমপুর খেরি হাসপাতালে মারা যান।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি তাঁর ছেলে এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ঘটনার সময় তাঁর ছেলে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
গোটা জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ ভোরে খেরি পৌঁছেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। অন্যদিকে ভোরেই খেরি পৌঁছানোর পথে সীতাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের গাড়িও আটকে দেওয়ায় নিজের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন