MP: মিথ্যে খুনের মামলায় ১৩ বছর জেলবন্দী, অবশেষ নির্দোষ প্রমাণিত আদিবাসী ডাক্তারি পড়ুয়া

প্রায় ৪৭৫০ দিনের মতো কারাগারে কাটিয়েছেন চন্দ্রেশ। প্রথমে আন্ডারট্রায়াল হিসাবে ২০০৮ সালে হেফাজত, পরে ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই ট্রায়াল কোর্ট তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

গোণ্ড উপজাতির চন্দ্রেশ মারস্কোলে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালের গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের শেষবর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০০৮ সালে প্রেমিকাকে খুন করে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চন্দ্রেশ ১৩ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়। এখন চন্দ্রেশের বয়স প্রায় ৩৪ বছর।

বিচারপতি অতুল শ্রীধরন এবং সুনীতা যাদব কর্তৃক হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই খুনের মামলায় চন্দ্রেশকে নির্দোষ ঘোষণা করে। ২০০৯ সালে আদালতের রায়কেও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রেশকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারকে ৯০ দিনের মধ্যে ৪২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ডঃ হেমন্ত ভার্মাকে রক্ষা করার জন্য চন্দ্রেশ মারস্কোলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। শৈলেন্দ্র শ্রীবাস্তব, যিনি এই মামলার প্রধান অপরাধী তিনি খুনটি করেন।

প্রায় ৪৭৫০ দিনের মতো কারাগারে কাটিয়েছেন চন্দ্রেশ। প্রথমে আন্ডারট্রায়াল হিসাবে ২০০৮ সালে হেফাজত, পরে ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই ট্রায়াল কোর্ট তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।

এরকমই আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল কেরালাতে। ISRO-র প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল। কেরালা পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত করেছিল, কিন্তু পরে সিবিআই তদন্ত হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। নাম্বি নারায়ণনকে আন্ডারট্রায়াল হিসাবে প্রায় ৫০ দিন কাটাতে হয়েছিল।

ছবি - প্রতীকী
Madhya Pradesh: উচ্চবর্ণের ফতোয়া, অবশেষে পুলিশি পাহারায় ঘোড়ায় চেপে বিয়ে সারলেন দলিত যুবক

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in