BJP সরকারের নির্দেশ - মাইহারের মা সারদা মন্দির থেকে সরতে হবে ৩৫ বছর ধরে কর্মরত মুসলিম কর্মীদের

গত ৩৫ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের মাইহারের (Maihar) মা সারদা মন্দিরের কর্মী হিসাবে যুক্ত আছেন ২ জন মুসলিম। এবার, তাঁদের অপসারণের জন্য নোটিশ জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিভাগ।
মাইহারের মা সারদা মন্দির
মাইহারের মা সারদা মন্দিরছবি সংগৃহীত

গত ৩৫ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের মাইহারের (Maihar) মা সারদা মন্দিরের (Maa Sharda temple) কর্মী হিসাবে যুক্ত আছেন ২ জন মুসলিম। এবার, তাঁদের অপসারণের জন্য নোটিশ জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিভাগ। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, মা সারদা দেবী প্রবন্ধ সমিতি থেকে মুসলিম কর্মচারীদের অপসারণের বিষয়ে আগেই একটি নোটিশ জারি করেছিল রাজ্যের সংস্কৃতি বিভাগ। গত ৫ এপ্রিল, সেই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য  সাতনা জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে আগে কিছু না জানা গেলেও, গত মঙ্গলবার, চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরেই সকলের নজরে আসে।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মা সারদা দেবী প্রবন্ধ সমিতির সাথে জড়িত রয়েছেন কমপক্ষে দুইজন মুসলিম কর্মী। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে, তাঁদের অপসারণের উপর জোর দিয়েছে বিজেপি শাসিত সরকার।

সংস্কৃতি বিভাগ নোটিশে আরও জানিয়েছে, এর আগেও একই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাই, এ বিষয়ে বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা (চিঠি) মেনে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে মন্দির প্রবন্ধ সমিতিকে।

জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান হলেন সিনিয়র বিজেপি নেত্রী ঊষা ঠাকুর, যিনি শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রিসভার পর্যটন মন্ত্রীও।

সূত্রের খবর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ একাধিক দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সুপারিশ মেনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, এ বিষয়ে উষা ঠাকুরের কাছে একটি চিঠি পাঠায় দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি। তারপরেই, মা সারদা দেবী প্রবন্ধ সমিতির সাথে যুক্ত মুসলিম কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সাতনা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় সংস্কৃতি বিভাগ।  

এ প্রসঙ্গে, মা সারদা দেবী প্রবন্ধ সমিতির একজন সদস্য নাম গোপন রাখার শর্তে আইএএনএসকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি পেয়েছি এবং এখন এটিকে মন্দিরের প্রবন্ধ সমিতির সামনে আলোচনার জন্য আনা হবে। কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।'

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in