

সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর প্যারেডে ছড়িয়ে পড়া হিংসার কারণে দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২২ টি এফআইআর দায়ের করেছে। দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন প্রায় ৩০০-র বেশি পুলিশকর্মী। মুকারবা চক, গাজিপুর, আইটিও, সীমাপুর, নাংলোই টি-পয়েন্ট, টিকরি সীমান্ত ও লালকেল্লায় মূলত এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল। গাজিপুর, টিকরি ও সিঙ্ঘু সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয় আন্দোলনরত কৃষকরা।
বহু কৃষক নেতার নাম এফআইআরে দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ দমন শাখা ও স্পেশ্যাল সেল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মোট ৮টি বাস এবং ১৭ টি বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সংযুক্ত কৃষক মোর্চা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়েছিল এই প্যারেডকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও সকাল ৮ নাগাদ প্রথম ঝামেলা শুরু হয়, যা প্যারেডের নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ছিল। এই সময় ৬ থেকে ৭ হাজার ট্র্যাক্টর সিঙ্ঘু সীমান্তে জড়ো হতে থাকে। তারা সেন্ট্রাল দিল্লির দিকে এগোতে থাকে। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, 'নিহাংসের নেতৃত্বে ঘোড়ায় চড়ে হাতে তলোয়ার, কৃপাণ নিয়ে কৃষকরা এগোতে থাকে। মুকারবা চক ও ট্রান্সপোর্ট নগরের বহু ব্যারিকেডও ভেঙে ফেলা হয়'।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গাজিপুর ও সিঙ্ঘু সীমান্ত দিয়ে দিল্লির দিকে প্রবেশ করতে থাকেন কৃষকরা। সেই সময় পুলিশ বাধা দিলেই সংঘর্ষ বেধে যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
