Morbi Bridge Collapsed: 'ভগবানের ইচ্ছায়' মোরবি সেতু ভেঙে পড়েছে, আদালতে দাবি ওরেভা কোম্পানির!
গুজরাটে মোরবি সেতু বিপর্যয়ের ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ বলে আদালতে দাবি করেছেন ওরেভা কোম্পানির ম্যানেজার দীপক পারেখ (Deepak Parekh)।
বুধবার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম জে খানকে (Chief Judicial Magistrate MJ Khan) তিনি বলেন, ‘যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তা আসলে ভগবানের (ঈশ্বরের) ইচ্ছাতেই ঘটেছে।’ রবিবার, সেতু বিপর্যয়ের পর যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দীপক পারেখ।
গত রবিবার, মোরবি সেতু বিপর্যয়ে ৪৭ জন শিশুসহ ১৩৫ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে- কোনও কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই শতাব্দী প্রাচীন মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বরাত পেয়েছে গুজরাটের ‘ওরেভা গ্রুপ’। পুরোটাই ঘটেছে রাজনৈতিক সংযোগের কারণে।
এদিকে, আদালতে মোরবির ডেপুটি পুলিশ সুপার পিএ জালা জানান, ‘সেতুর তারে ‘মরিচা’ পড়েছিল। সংস্কারের সময় তা চেঞ্জ করা হয়নি।’ এছাড়া, সরকারি ছাপত্র বা মান পরীক্ষা ছাড়াই- গত ২৬ অক্টোবর সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
ডেপুটি পুলিশ সুপার বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের সময় শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্মটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেতুটি একটি তারের উপর ছিল এবং তারের কোনও। যেখান থেকে তারটি ভেঙ্গেছিল, সেখানকার রে মরিচা ধরেছিল। তারটি মেরামত করা হলে ঘটনাটি ঘটত না।’
এছাড়া, আদালতে অন্য এক আইনজীবী দাবি করেন, ‘সেতু মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই ঠিকাদাররা যোগ্য ছিল না। তা সত্ত্বেও, এই ঠিকাদারদের ২০০৭ সাল এবং তারপর ২০২২ সালে সেতু মেরামতের কাজ দেওয়া হয়েছিল।’
ওরেভার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখভাই প্যাটেল (Jaysukhbhai Patel), যিনি প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন - কমপক্ষে আট থেকে দশ বছর সংস্কার করা এই সেতুটির কিছু হবে না (এ দাবির ৪ দিন পরেই সেতুটি ভেঙে পড়ে)। কিন্তু, সেতু বিপর্যয়ের পরে তাঁকে দেখা যায়নি।
এদিকে জানা যাচ্ছে, এই সেতু বিপর্যয়ের পর রবিবার ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, ওরেভার কোনও শীর্ষ আধিকারিক বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখভাই প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেনি পুলিশ।
আদালত সূত্রে খবর, ওরেভা গ্রুপের ম্যানেজার দীপক পারেখ এবং সেতু মেরামতকারী দুই সাব-কন্ট্রাক্টরকে শনিবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তারক্ষী এবং টিকিট বুকিং ক্লার্ক সহ আরও পাঁচজন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন