
লোকসভার বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিলো কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আসন্ন সংসদ অধিবেশনের জন্য কংগ্রেস পরিষদীয় দল পুনর্গঠন করার কথা ঘোষণা করলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর জায়গায় অন্য মুখের কথা ভাবা হলেও আপাতত অধীর চৌধুরীই লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা থাকছেন বলে জানানো হয়েছে।
আগামীকাল ১৯ জুলাই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হবে। গত ১৫ জুলাই এক চিঠিতে এই প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন – সংসদের দুই কক্ষে কংগ্রেসের বক্তব্য আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য কিছু ক্ষেত্রে সংসদীয় দলের পুনর্গঠন করা হল।
লোকসভায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ, মণীশ তেওয়ারি, কে সুরেশ, মানিকাম ঠাকুর, শশী থারুর এবং রভনীত বিট্টু কংগ্রেস-এর এই দলে জায়গা পেয়েছেন।
রাজ্যসভার জন্য কংগ্রেসের যে দল গঠন করা হয়েছে সেখানে আছেন – মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিং, পি চিদাম্বরম এবং কে সি বেণুগোপাল।
ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, সংসদ চলাকালীন এই দুই দল নিজেদের মধ্যে প্রতিদিন বৈঠকে বসবে। রাজ্যসভা এবং লোকসভার দুই দলের যৌথ বৈঠক পরিচালনা করবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
লোকসভার বাদল অধিবেশনে কংগ্রেস মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কোভিড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে সরব হবে।
সংসদে এই দুই দলের কার্যপ্রণালী ঠিক করবেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আগামী বুধবার তিনি এই দুই দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন রাফায়েল প্রসঙ্গে তোলার বিষয়ে আলোচনা করবেন। সম্প্রতি ফ্রান্সে রাফায়েল বিষয়ে পুনরায় তদন্ত শুরু হবার পর এই চুক্তি নিয়ে অস্বচ্ছতা আবারও আলোচনায় ফিরে এসেছে।
সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অন্যান্য বিরোধীদলের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পি চিদাম্বরম জানিয়েছিলেন, এবারের সংসদ অধিবেশনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার দাবি জানানো হবে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন