Swami Chinmayananda: ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দকে বেকসুর খালাস আদালতের

চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী ওম সিং বলেছেন, “ন্যায়বিচার পাওয়ায় আমরা খুশি। তিনি নির্দোষ ছিলেন। অভিযোগকারীনী তার আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন পরিবারের চাপে পরে তিনি ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।"
যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে চিন্ময়ানন্দ
যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে চিন্ময়ানন্দফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দকে বেকসুর খালাস করল এমপি/এমএলএ বিশেষ আদালত। ২০১১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনের এক ছাত্রী।

চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী ফিরোজ হাসান খান সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রমাণের অভাবে চিন্ময়ানন্দকে মুক্তি দিয়েছেন স্থানীয় এমপি-এমএলএ আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ এহসান হুসেন।

চিন্ময়ানন্দের আর এক আইনজীবী ওম সিং বলেছেন, “ন্যায়বিচার পাওয়ায় আমরা খুশি। তিনি নির্দোষ ছিলেন। অভিযোগকারীনী তার আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন পরিবারের চাপে পরে তিনি ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।"

প্রাক্তন বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর শহরে একটি আইনের কলেজ রয়েছে। নির্যাতিতা ওই কলেজের ছাত্রী ছিলেন। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে কোতওয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে নির্যাতিতাকে।

অভিযোগ ওঠে, অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ার কারণে প্রথমে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে রাজি হয়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দীর্ঘ টালবাহানার পর দায়ের হয় FIR। ২০১২ সালের অক্টোবরে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে বিচারের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

২০১৮ সালে, যোগী সরকার চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভের জেরে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। পরে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর একটি চার্জশিট ফাইল করা হয়। এইসময় বিজেপি থেকে বহিস্কার করা হয় তাঁকে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে জামিন দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

অন্যদিকে, চিন্ময়ানন্দর আইনজীবী ওম সিং অভিযোগকারী ছাত্রী ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা তোলা আদায়ের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in