

কেন্দ্রের মোদির সরকারের ভ্যাকসিন নীতিকে বিশ্বের 'সবথেকে বৈষম্যমূলক ও অসংবেদনশীল' বলে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। এই ভ্যাকসিন নীতির ফলে ১ লাখ ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা লাভের অঙ্ক কেন্দ্র ঘরে তুলেছে বলে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। এআইসিসি জনসংযোগ দপ্তরের প্রধান রণদীপ সুরজেওয়ালা কেন্দ্রকে একযোগ আক্রমণ করে বলেন, 'এক দেশ, পাঁচরকমের ভ্যাকসিনের দাম'।
মোদির শাসনকাল হচ্ছে ভ্যাকসিন থেকে প্রাপ্য লাভ তোলার জন্য। ভ্যাকসিন উৎপাদন করে তা জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়াই সরকারের কাজ। তা দিয়ে জনসংযোগ তৈরি করা সরকারের কাজ নয়। করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা কখনই ব্যবসার সুযোগ হতে পারে না। মহামারি চলাকালীনই এই জীবনদায়ী ভ্যাকসিন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাভের টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুরজেওয়ালা।
উল্লেখ্য, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেকও নিজেদের ভ্যাকসিনের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। মোদি সরকার এই ভ্যাকসিন থেকেও বড় অঙ্কের লাভের জন্য পুরো বিষয়টিতে অনুমতি দিয়েছে। সরকার নিজের দায়বদ্ধতা ত্যাগ করে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের প্রতি অবজ্ঞা করে এসেছে। রাজ্য সরকারগুলোর নিজেদের অর্থ বরাদ্দ করেই এই বয়ঃসীমার মানুষদের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া উচিত ছিল। ভারতে মোট জনসংখ্যার ৭৪.৩৫ শতাংশ মানুষই ৪৫ বছরের নীচে। মোদি সরকারই দু'টি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার ৫০ শতাংশ উৎপাদিত ভ্যাকসিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলেও তীব্র আক্রমণ করেন সুরজেওয়ালা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন