এবার বন্দর বেসরকারিকরণ করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি শুরু করল মোদি সরকার। ২,৫০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের হাতে থাকা সাতটি বন্দরের উন্নতি ও পরিকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। তারপর ওই সংস্থাই কয়েকটি বিভাগও পরিচালনা করবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশি ও বিদেশি বেশ কিছু সংস্থা এগিয়েও এসেছে।
জানা গিয়েছে, চিদম্বরনার এবং পারাদীপ পোর্ট ট্রাস্টের জন্য দুবাই সরকারের অধীনস্থ একটি কোম্পানি আবেদন করেছে। দেশের মোট ১২টি বন্দর রয়েছে ভারত সরকারের অধীনে। বেসরকারিকরণ করা হবে জওহরলাল নেহরু বন্দর, গুজরাতের দীনদয়াল পোর্ট ট্রাস্টও। চিদম্বরনার পোর্টে ৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। বিশাখাপত্তনম বন্দরের দু’টি বার্থ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হবে ২৮৮ কোটি টাকা।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, ভবিষ্যতে বন্দর পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব শুধু কোনও সরকারি সংস্থা বা পোর্ট ট্রাস্টকে দেওয়া হবে না। পিপিপি (প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ) প্রক্রিয়ায় টার্মিনাল ও বার্থ নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্ব থাকবে সরকারি হাতে। সাতটি বন্দরের পরিকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
সেই লক্ষ্যে মেজর পোর্ট অথরিটিজ আইন, ২০২১ পাশ হয় সংসদে। বন্দরের পরিচালনা ব্যবস্থা আগে ছিল ট্রাস্টি মডেলে। এখন তা চলবে অথরিটি মডেলে। মুম্বই জওহরলাল নেহরু বন্দরের প্রকল্প সবথেকে বড় হতে চলেছে। সেখানে বেসরকারি সংস্থা ৮৬০ কোটি টাকার কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণের দায়িত্ব পাবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।