

রামমন্দির উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে অযোধ্যায় বিতর্ক থামতেই চাইছে না। এর আগে রামমন্দিরের ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়া এবং রামপথে ফাটল-গর্ত খবর শিরোনামে এসেছিল। এবার মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় প্রায় ৪০০০ আলো চুরির খবর জানা যাচ্ছে।
গত ৯ আগস্ট রাম জন্মভূমি থানায় আলো চুরি নিয়ে মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়ের করে আলোর দায়িত্বে থাকা সংস্থা যশ এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষ্ণ অটোমোবাইলস। তাদের অভিযোগ, অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আলো লাগানোর জন্য। চুক্তি অনুযায়ী ৬৪০০টি ব্যাম্বু লাইট (বাঁশে লাগানো আলো) এবং ৯৬টি প্রোজেক্টর আলো লাগানো হয়েছিল। যার মধ্যে ৩৮০০টি ব্যাম্বু লাইট এবং ৩৬টি প্রোজেক্টর আলো চুরি হয়েছে।
এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ৬৪০০টি আলো রাম পথে এবং ৯৬টি আলো ভক্তি পথে লাগানো হয়েছিল। ১৯ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত আলোই ঠিক ছিল। কিন্তু ৯ মে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় আলোগুলি নেই। আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকার আলো চুরি হয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে।
এর আগে জুন মাসে রামমন্দিরের ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির জল পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। চলতি বছর ২২ জানুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। ৫ মাসের মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়তে শুরু করে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সত্যেন্দ্র দাস জানান, বৃষ্টির জল বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই মন্দিরে। রামলালার মূর্তির সামনে পুরোহিত যেখানে বসেন এবং ভিআইপি দর্শনের জন্য মূর্তির সামনে যে অংশটি বরাদ্দ করা হয়েছে, সেখানকার ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়তে শুরু করেছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন