

আমার রক্ত, আমার জীবনের বিনিময়েও যদি ত্রিপুরার শান্তি আসে, সুস্থিতি আসে, সম্প্রীতি ফিরে আসে, গণতন্ত্র ফিরে আসে আমি সাধুবাদ জানাবো। কিন্তু এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। প্রশাসনের মদত ছাড়া এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। সোমবার শান্তিরবাজারে আক্রান্ত হবার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
তিনি আরও বলেন গতকালও তো রাজ্যে সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছে। দৈনিক সংবাদ-এর সাংবাদিক। এভাবে কি এঁরা এঁদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে? বিজেপির মধ্যে কমিউনিস্ট ভীতি এমনভাবে ঢুকেছে তার থেকে আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণের রাস্তা বেছে নিচ্ছে। বিজেপি বুঝতে পারছে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। কিন্তু কমিউনিস্টরা রাস্তায় ছিলেন রাস্তায় থাকবেন। এভাবে আক্রমণ করে আমাদের আটকানো যাবেনা। মানুষের ধৈর্যের সীমা আছে সেটা ভুলে গেলে হবে না।
মানিক সরকার বলেন - শান্তিরবাজার থানার ওসি ছাড়া কাউকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখিনি। আমরা যে আক্রান্তদের দেখতে যাবো তা গতকালই জানানো হয়েছিলো। আমাদের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের মনে হয়েছে পুলিশের ওপরমহল থেকে এই বিষয়ে যে ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ ছিলো তা নেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন – এর আগেও বাদল চৌধুরী আক্রান্ত হয়েছেন। নির্বাচিত বিধায়করা এলাকায় যেতে পারছেন না। আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আক্রান্ত হচ্ছি। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন এই ধরণের ঘটনা অন্যায়। এই ধরণের ঘটনা যাতে না হয় আমরা দেখবো। কিন্তু তারপরেও বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে।
এদিন দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে ত্রিপুরায় শান্তিরবাজারে আক্রান্ত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আক্রান্ত হয়েছেন বাদল চৌধুরীও। তাঁদের কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ইট, কাঁচের বোতল ছোঁড়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে এই আক্রমণের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ওপর। ২০১৮-র ১৭ নভেম্বর সিপাহীজোলার রাস্তারমাথা অঞ্চলে মানিক সরকারের কনভয়ের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। সেবারও অভিযোগ ছিলো বিজেপির বিরুদ্ধে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন