

বিজ্ঞানী পরিচয়ে বিদেশ সফর, নকল ডিগ্রি, জাল পাসপোর্ট - প্রায় দু'দশক ধরে নিজেকে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC)-এর বিজ্ঞানী বলে পরিচয় দিতেন আখতার হুসেইন কুতুবউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার অভিযুক্ত আখতারকে ভেরসোভার বাড়ি থেকে আটক করল মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। জানা গেছে, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নকল শিক্ষাগত ডিগ্রি, আইডি কার্ড, পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ১৪টি মানচিত্র।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, দু'টো পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন আখতার। একটি ছিল ‘আলি রেজা হুসেইন’ এবং অন্যটি ‘অ্যালেক্সান্ডার পালমার’ নামে। এই পরিচয় ব্যবহার করে তিনি নিজেকে BARC-এর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করাতেন।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, আখতার বহু বছর ধরে বিদেশে কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি দুবাই থেকে দেশত্যাগের নির্দেশ পেয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, তিনি ভারতের সংবেদনশীল তথ্য বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তবে পরবর্তী তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন।
এরপর থেকেই তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে অ্যালেক্সান্ডার পালমার নামে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বিদেশে যাতায়াত করেছেন। পুলিশের তদন্তে আরও জানা গেছে, তিনি এই নামের তিনটি ভুয়া পাসপোর্ট, আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও নিয়েছিলেন। তাঁর বিদেশ সফরই তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যে সন্দেহের জন্ম দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আখতারের বাড়ি থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার জাল মার্কশিট, বিএসসি, বিটেক ও এমবিএ-র ভুয়ো ডিগ্রি এবং বেশ কয়েকটি জাল অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট খুঁজে পাওয়া গেছে। সব তথ্যই তিনি অ্যালেক্সান্ডার পালমার নাম ব্যবহার করেছেন।
এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি আখতারের বিদেশ সফর, তাঁর যোগাযোগ এবং সম্ভাব্য জাল পরিচয়ের নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন