

নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর মাইক বন্ধ করে তাঁকে অপমান করা হয়েছে, বাইরে বেরিয়েই সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজেট বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এই বৈঠক আগেই বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন 'ইন্ডিয়া' জোটের বাকি মুখ্যমন্ত্রীরা।
শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই নাকি তাঁকে অপমান করা হয়েছে। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে মমতা ব্যানার্জি বলেন, "আমি দেশের স্বার্থে, বাংলার স্বার্থে এখানে এসেছিলাম। অন্যান্য বিরোধীরা কেউ আসেননি। কেন্দ্রীয় বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন। আপনারা বিরোধী দলের কোনো রাজ্যকে কোনো সুযোগ দেন না। ৩ বছর ধরে আমাদের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বন্ধ, গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই"।
তিনি আরও জানান, "আমি আমার দাবিগুলো বলার সাথে সাথেই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি বললাম কেন আমাকে থামাচ্ছেন? একমাত্র বিরোধী হিসেবে আমি যোগদান করেছি বৈঠকে। আপনাদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু আপনারা মাইক বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমাকে অপমান করছেন। আপনাদের বঞ্চনা আমি মানি না। তাই আমি চললাম"।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, "চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলার সুযোগ দিয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। তাঁদেরকে ১০-১২ মিনিট করে বলতে দেওয়া হয়েছে। আর আমাকে ৫ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। এটা উচিত নয়"।
প্রসঙ্গত, গতকালই দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, "দেশকে একাধিক ভাগে ভাগ করতে চায় বিজেপি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমি মনে করি আমাদের বক্তব্য রেকর্ড থাকা ভালো। আমি জাস্ট যাচ্ছি, কিছুক্ষণ থাকবো। বক্তব্য রেকর্ড করতে দিলে রেকর্ড করবো না হলে প্রতিবাদ করবো। প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসবো। সুতরাং আমি চেষ্টা করবো আমার রাজ্যের হয়ে কথা বলার"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন