
আগামী মাসেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে আসন রফা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র তিন শরিক কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি (এসপি)। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৬৩ আসন নিয়ে ঐক্যমতে আসা গিয়েছে। তবে বাকি ২৫টি আসনে এখনও জট রয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে বৈঠক করেন শিবসেনার (ইউবিটি) সঞ্জয় রাউত, এনসিপির জয়ন্ত পাতিল, জিতেন্দ্র আহিরওয়াড়। সেখানে মুম্বাই ও কোঙ্কণ উপকূলের ২৫ টি আসন বাদে বাকি আসনের রফা হয়েছে। সূত্রের খবর, এনসিপি এবং কংগ্রেস ১০০ টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের আর একটি সূত্র জানাচ্ছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাবশালী দলিত নেতা প্রকাশ আম্বেডকরের দল ‘বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ী’ (ভিবিএ)-কে বিরোধী জোটে আনতে চাইছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনেও বিআর আম্বেডকরের পৌত্রের সঙ্গে লড়তে চেয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। এবারের নির্বাচনেও জোট হওয়ার আশা কম।
অন্যদিকে, সেরাজ্যের শাসক জোটেরও আসন রফা চূড়ান্ত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২৮৮ টি আসনের মধ্যে বিজেপি লড়বে ১৫০-১৫৫টি, শিন্ডেসেনা ৯০-৯৫ টি এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার) ৪০-৪৫ টি আসনে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ নভেম্বর এক দফাতেই ২৮৮ আসনে নির্বাচন মহারাষ্ট্রে। ২৩ নভেম্বর ভোট গণনা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৪ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। যদিও শাসক-বিরোধী কেউই এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন