

ঢেলে সাজানো হবে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বৃহস্পতিবার। সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত এবং পুর নির্বাচনে দলের যে সব কর্মী তাদের প্রতি দলের আস্থার অপব্যবহার করেছেন তাদের সরিয়ে নতুন করে জেলা এবং ব্লকে দলকে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব ইঙ্গিত দিয়েছে যে ১৫ মাস পরে রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেস দলীয় কর্মীদের শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সূত্রগুলি আইএএনএসকে জানিয়েছে, যারা দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের টিম দলের সেইসব নেতা ও কর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার, সিনিয়র কংগ্রেস নেতা, জেলা প্রধান, নবনির্বাচিত মেয়র এবং অন্যান্যদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান কমল নাথ বলেন, যারা শত শত গাড়ির কনভয় নিয়ে ভোপালে এসেছেন তাদের মাটিতে কাজ করা উচিত। "মাটিতে কাজ করলে জয় আসবে, ১০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে জয় আসবে না, তাই মাঠে কাজ শুরু করুন। আর, যদি দলের জন্য মাঠে কাজ করার জন্য সময় দিতে না চান, তাহলে বলুন। যোগ্য ব্যক্তিদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।”
সূত্র অনুসারে, কমল নাথ জেলা ও ব্লক স্তরের দলীয় কর্মীদের রদবদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কেবলমাত্র যারা দলকে পুরো সময় দেবেন তাদেরই পদোন্নতি ঘটানো হবে। এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, "কমলনাথ দলের কর্মীদের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত শক্তিশালী করতে কাজ করছেন। তিনি ব্যক্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে জেলা প্রধান ও ইনচার্জদের বেশি অগ্রাধিকার দিতে চান। দলে শীঘ্রই বড় ধরনের রদবদলের প্রস্তুতি চলছে।"
বৈঠকে কমলনাথ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কংগ্রেসের কিছু বিধায়কের সমালোচনা করে বলেন, "ছোটদের কংগ্রেস মনে হচ্ছে আপনাদের চেয়ে বেশি উৎসাহী।" প্রসঙ্গত, 'ছোটদের কংগ্রেস' দলের একটি পৃথক ইউনিট, যেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোররা দলের জন্য কাজ করে।
সূত্র জানিয়েছে, যে বিধায়করা তাদের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কমলনাথের ক্রোধের মুখোমুখি হয়েছেন তারা হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী জিতু পাটোয়ারী, গোয়ালিয়রের বিধায়ক প্রবীণ পাঠক এবং আরও কয়েকজন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন