মধ্যপ্রদেশে স্কুল কর্তৃক অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ নিতে গিয়েছিল ভোপালের একটি পেরেন্টস ইউনিয়ন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য হতবাক করে দিয়েছে বাবা-মায়েদের। মন্ত্রীকে ইউনিয়নের তরফ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল শিক্ষা বিভাগ যদি তাঁদের আবেদন শুনতে রাজি না হয় তাহলে কী করা উচিত। মন্ত্রী জবাবে জানিয়েছেন, "মরে যান।" এমনটাই অভিযোগ পেরেন্টস ইউনিয়নের।
মধ্যপ্রদেশ পালক মহাসঙ্ঘের ব্যানারে মঙ্গলবার সকালে প্রায় একশো জন বাবা-মা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ইন্দ্র সিং পার্মারের সাথে দেখা করতে ভোপালে তাঁর অফিসিয়াল বাসভবনে যান। সেখানে তাঁরা মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, মহামারীর কারণে তাঁদের উপার্জন অনেক কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের সম্পূর্ণ ফি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাঁদের পক্ষে। অভিভাবকদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে স্কুলগুলি।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোভিড মহামারী চলাকালীন স্কুলগুলো কেবল টিউশন ফি নিতে পারবে।
অভিভাবকরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং ফি কমানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন মন্ত্রীর কাছে। মন্ত্রীকে তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, শিক্ষা বিভাগ তাঁদের আবেদন না শুনলে কী করবে তাঁরা? এতেই মেজাজ হারান মন্ত্রী। তিনি বলেন, "যান, মরে যান। যা ইচ্ছে হয় তাই করুন।"
পালক মহাসঙ্ঘের সভাপতি কমল বিশ্বকর্মা মন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রী যদি অভিভাবকদের কথা না শুনতে চান তাহলে পদত্যাগ করুন। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেরেন্টস ইউনিয়ন।
কংগ্রেসও ইন্দ্র পারমারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেছেন, "মন্ত্রী একজন নির্লজ্জ ব্যক্তি। পেরেন্টস ইউনিয়ন সাহায্যের জন্য তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাব দেখিয়েছেন। ওঁকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত।"
যদিও মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর দল। বিজেপির মুখপাত্র রাজপাল সিং সিসোদিয়া জানিয়েছেন, "মন্ত্রী অভিভাবকদের বলেছিলেন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন তিনি। তখন অভিভাবকরা বলতে শুরু করেন, আমাদের কি মরে যাওয়া উচিত। মন্ত্রী তাঁদের বলেছিলেন সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।