মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীর গায়ে প্রস্রাব কাণ্ড - বিতর্কের মুখে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলার নির্দেশ

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বলেন, "সভ্য সমাজে আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবকদের সাথে এমন জঘন্য কাজের কোনো জায়গা নেই। এই ঘটনা সমগ্র মধ্যপ্রদেশকে লজ্জায় ফেলেছে।"
এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করছেন এক ব্যক্তি
এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করছেন এক ব্যক্তিছবি ঘটনার ট্যুইটার ভিডিও থেকে স্ক্রীনশট

মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব কাণ্ডে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এক ভিডিও। যেখানে ভালো পোষাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে, বসে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করতে দেখা যাচ্ছে। যার গায়ে প্রস্রাব করা হচ্ছে তাঁর পোশাক দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি অত্যন্ত দরিদ্র এবং যিনি প্রস্রাব করছেন তাঁর নাম প্রবেশ শুক্লা, বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার প্রতিনিধি। সামাজিক বৈষম্যের নিষ্ঠুরতম এই নমুনা দেখে শিউরে উঠেছিল দেশ। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি ওঠে। তীব্র বিতর্কের মাঝে মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রবেশ শুক্লা গ্রেপ্তার এড়াতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরছিলেন। রাত ২ টায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, এসসি/এসটি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্লার স্ত্রী ও বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

প্রবেশ শুক্লার দাবি এটা ভুয়ো ভিডিও। নির্যাতিত আদিবাসী যুবককেও থানায় আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ৩৬ বছর বয়সী দশমত রাভাত নামের ওই যুবকেরও দাবি এই ভিডিও ভুয়ো। এই নিয়ে একটি হলফনামাও তৈরি করেছেন রাভাত। তবে সূত্রের খবর, এই হলফনামা রাভাতকে দিয়ে জোর করে লিখিয়ে নিয়েছে পুলিশ। যদিও এই হলফনামা এখনও জমা দেওয়া হয়নি।

এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তিনি বলেন, "সিধি জেলায় এক আদিবাসী যুবকের উপর (এক ব্যক্তির) প্রস্রাব করার নৃশংস ভিডিও সামনে এসেছে। সভ্য সমাজে আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবকদের সাথে এমন জঘন্য কাজের কোনো জায়গা নেই।"

তিনি বলেন, "এই ঘটনা সমগ্র মধ্যপ্রদেশকে লজ্জায় ফেলেছে। দোষী ব্যক্তিকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত এবং মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীদের উপর নৃশংসতা বন্ধ করা উচিত।"

GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in