Madhya Pradesh: ভোটের আগেই বড় ধাক্কা বিজেপি শিবিরে, কংগ্রেসে যোগ প্রাক্তন মন্ত্রী দীপক জোশীর

২০১৮ সালের নির্বাচনে হাটপিপলিয়া কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ চৌধুরির কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই দলে কোণঠাসা হতে থাকেন দীপক যোশী ও তাঁর পরিবার।
কমল নাথের উপস্থিতিতে দীপক জোশীর কংগ্রেসে যোগ দান
কমল নাথের উপস্থিতিতে দীপক জোশীর কংগ্রেসে যোগ দান

মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা পদ্মশিবিরে। শনিবার, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তিন বারের বিধায়ক দীপক যোশী (Deepak Joshi)।

দীপক যোশী হলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত কৈলাশ যোশীর ছেলে। তিনি বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও প্রতিহিংসার অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা কমল নাথের উপস্থিতিতে হাত শিবিরে যোগ দিয়েছেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর ছয় মাস বাকি। তার আগে দীপক যোশীর কংগ্রেসে যোগদান ক্ষমতাসীন বিজেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা। তাঁর বাবা কৈলাশ যোশী একজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সৎ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।

একইসঙ্গে, দীপক যোশীও রাজ্যের তিনবারের বিধায়ক ছিলেন। ২০০৩ সালে বাগলি কেন্দ্র থেকে এবং ২০০৮ ও ২০১৩ সালে হাটপিপলিয়া কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৩-১৮ সালের মধ্যে শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন যোশী। তাঁর মতো একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের দল ছাড়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে হাটপিপলিয়া কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী মনোজ চৌধুরির কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই দলে কোণঠাসা হতে থাকেন দীপক যোশী ও তাঁর পরিবার।

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন দীপক জোশী বলেন, তাঁর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে তিনি রাজ্য প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরেছেন, কিন্তু কেউ তাঁকে সহায়তা করেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যান। দীপকের কথায়, 'আমার অবস্থাই যদি এ রকম হয়, তা হলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে! তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর ওই দলে নয়।'

একইসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কৈলাশ যোশীকে অপমান করার অভিযোগ এনেছেন দীপক জোশী।

বিজেপির নিন্দা করে যোশী বলেন, "আমি আমার বাবার মূর্তি স্থাপনের জন্য দলের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য নেতারা আমার দাবিতে কোনও কর্ণপাত করেননি। সবচেয়ে সৎ রাজনৈতিক নেতাকে সম্মান জানানোর জন্য তারা (বিজেপি) সামান্য জমিও দেয়নি।"

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in