মধ্যপ্রদেশের কুয়ো-কান্ডে মোট ১১জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। আরো ১৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের তরফ থেকেই মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক ট্যুইট বার্তায় জানানো হয়, "মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় হওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় আমি ব্যথিত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো। প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।"
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এই ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা ও ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ভবিষ্যতের যে কোনো প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন চৌহান।
কী হয়েছিল বিদিশায়?
বৃহস্পতিবার রাতে বিদিশার সদর দপ্তর থেকে ৫০ কিমি দূরে গঞ্জ বাসোদা গ্রামে ৮ বছরের এক বালিকা ৫০ ফুট গভীর একটি কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল। তাকে উদ্ধার করতে কিছু গ্রামবাসী কুয়োর মধ্যে নেমেছিলেন। বাকিরা তাঁদের সহায়তার জন্য কুয়োর প্রাচীরের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই কুয়োর দেওয়াল ধসে যায় এবং যাঁরা দেওয়ালের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা জলে পড়ে যান।
তৎক্ষণাৎ স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়। একটি ট্রাক্টর নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন চার পুলিশ অফিসার। কিন্তু চার পুলিশ কর্মী সহ ট্রাক্টরও কুয়োর মধ্যে পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে এখন তিনটি জেসিবি মেশিন, এনডিআরএফ ও সেনা বাহিনী রয়েছে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী বিশ্বাস সারাং এবং গোবিন্দ সিং রাজপুত উদ্ধার কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কুয়োর মধ্যে এখনও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। ওই বালিকা কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানা যায়নি এখনো।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।