গোটা দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু কোন রাজ্যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশে লখনউতে একটি শ্মশান ঘাটে টিনের শেড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সারি সারি মৃতদেহ দাহ করার ভিডিও যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই উত্তরপ্রদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা যে লুকিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই বৃহস্পতিবার নীল টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, অনধিকার প্রবেশ নিষিদ্ধ। করোনা সংক্রমিত এলাকায় প্রবেশের নিষেধ অমান্য করলে শাস্তি পেতে হবে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন- এর আগে নমস্তে ট্রাম্পের সময় দেওয়াল তুলে আমেদাবাদের বস্তি এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছিল আর এখন শ্মশানঘাট আলাদা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'নিজের ঢাক বাজাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আর দেশবাসীকে কড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে। দেশের সরকার অকর্মণ্য। এই পরিস্থিতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
লখনউয়ের একটি শ্মশানেই শুধু দাহ করা হয়েছে ৭০টি মৃতদেহ। অথচ ওইদিন ১১ এপ্রিল ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও সরকারের সাফাই, সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, তা নয়। কোভিডের জন্য দুটি শ্মশান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সাত-আটটি করে মৃতদেহ দাহ করা হত। গত কয়েকদিনে সংখ্যা বেড়ে ৩০-৪০এ দাঁড়িয়েছে। গত রবিবারই ৬৯ জনের মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, পরিস্থিতি আড়াল না করে মহামারী রোধে কঠোর পদক্ষেপ করুন। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ না করে মৃতদেহের সংখ্যা লুকোতে চাইছে। অন্যদিকে, লুকোছাপায় বিরক্ত হয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারের কাছে সঠিক রিপোর্ট তলব করেছে গুজরাট হাইকোর্ট। সুরাটে একটি শ্মশানঘাটে এত বেশিসংখ্যক মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে যার জেরে একটি ধাতব চুল্লি গলে গিয়েছে। তবুও সারা শহরে দৈনিক মৃত্যু ২০জনের কম দাবি করছে রাজ্য।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।