

জেডি(ইউ)-এর তীব্র বিরোধিতার পরে বিজেপির অনুরোধে এনডিএ-র বৈঠক থেকে সরে আসেন এলজেপি সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান। কারণ, তাঁকে আমন্ত্রণ জানালে জেডি(ইউ) এই বৈঠক থেকে দূরে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, যা ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে ফাটল আরো বড় করতে পারত। অপরদিকে এই কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বিহার মন্ত্রিসভার বিস্তার আটকে রয়েছে, যদিও নতুন মন্ত্ীদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
রবিবার জেডি(ইউ)-এর তরফে জানানো হয়, এনডিএ থেকে এলজেপির দূরে থাকাই উচিত। কারণ, শুধু এলজেপির কারণে বিহার নির্বাচনে কমপক্ষে ২০ টি আসন কম পেয়েছে এনডিএ। এদিকে, আরেক শরিক হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার)-ও এনডিএ থেকে এলজেপিকে দূরে রাখতে চায়। আর বিজেপি এই বিষয়টির আঁচ আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, এলজেপি যদি বিহারে এনডিএ জোটে না থাকে, তাহলেও ৬ জন সাংসদকে নিয়ে কেন্দ্রের সরকারে সমর্থন থাকবে তারা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি ড. সঞ্জয় জয়সওয়াল এবং সংগঠনের সচিব নাগেন্দ্রজি বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সম্ভবত দেখা করতে চলেছেন। আগামী দু'দিনে বিহারে মন্ত্রী ও পরিষদীয় কাউন্সিলের সদস্যের নাম ঘোষণা করার বিষয়েই এই সাক্ষাৎ। যদিও জেডি(ইউ)-র সর্বভারতীয় মুখপাত্র কেসি ত্যাগী জানিয়েছেন,'মন্ত্রিসভার বিস্তার ও এলজেপিকে শরিক না-করার বিষয় নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় রয়েছি। যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে জেপি নাড্ডার মতো বিজেপি নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারে নীতিশ কুমার এনডিএ-র নেতা যতক্ষণ রয়েছেন, সেখানে এনডিএ-তে চিরাগ পাসোয়ানের কোনও দরকারই নেই। এই বিষয়টি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন