এক দশকেরও বেশি সময় যাবৎ নাবালিকাদের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি মুরুগা শরনারু। সোমবার পুলিশি তদন্ত মারফত এমন তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি, দুজন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। শিবমূর্তি শরনারু বর্তমানে চিত্রদুর্গা জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ১০ বছর ধরে নাবালিকাদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো প্রসঙ্গে বেশ কিছুজন অভিযুক্ত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আশ্চর্যজনক বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতিগুলি সমর্থন করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে মুরুগা মঠের প্রাক্তন ধর্মগুরু শরানন্দ স্বামীজি জানান, মাত্র দুজন নয়, আরও বেশি নাবালিকা শিবমূর্তির দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, এদের মধ্যে বেশকিছু নাবালিকাকে গর্ভপাত করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা মঠের হোস্টেল ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। স্বামীজির বক্তব্য অনুযায়ী, যৌন লালসার কারণে অভিযুক্ত ধর্মগুরু মঠের 'বাসভা' (অনাথ বাচ্চা) দের ব্যবহার করতেন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শিবমূর্তির বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে 'প্লেজার ট্রিপ'-র অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিদেশ সফরের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমন অভিযোগও রয়েছে, অভিযুক্ত ধর্মগুরু একটি অত্যাধুনিক বাথরুম তৈরি করেছিলেন। যেখানে তিনি নাবালিকাদের ডেকে নিয়ে তাদের উপর মারধর করতেন। এছাড়াও, মেয়েদের দিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্য বেশকিছু ছেলেদের নিয়ে একটি সহযোগী দল তৈরী করেছিলেন শিবমূর্তি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
