ফাইল ছবি
ফাইল ছবিতালিলনাড়ু সিপিআই(এম) ফেসবুক পেজ থেকে প্রাপ্ত

তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে এবার বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে বামেরা

বাম দলগুলোর শ্রমিক ইউনিয়ন- দ্রাবিড়িয়ান পার্টিগুলোর পরই শক্তিশালী
Published on

চেন্নাই, ২৪ ফেব্রুয়ারি: তামিলনাড়ুর ইতিহাসে বাম দলগুলোর প্রভাব সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রভাব এখনও চলছে। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষ যেমন শ্রমিক, কৃষক, দলিত, মহিলা ও অন্যান্যদের অধিকার রক্ষায় সবসময়ই এগিয়ে এসেছে বাম দল ও সংগঠনগুলো।

সিপিআই(এম) ও সিপিআই তাদের এই প্রভাবের কারণেই বহু জেলায় আসনলাভ করেছে। বাম দলগুলোর শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন দ্রাবিড়িয়ান পার্টিগুলোর পরই। তাই নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে রেখেছে। সিপিআই হোক বা সিপিআই(এম) দুই দলেরই শ্রমিক ইউনিয়নে বেশ শক্তিশালী। পরিবহণ হোক, কলকারখানা, তাঁতি, অটো, নির্মাণ শ্রমিক, ব্যাংক, পাবলিক সেক্টর, ইনস্যুওরেন্স কোম্পানি প্রভৃতি জায়গাতেই শ্রমিক ইউনিয়ন সিটু, এআইটিইউসি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে এসেছে।মূলত বস্ত্র কারখানাগুলোতে, বিড়ি শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকে। রবার ও চা গাছ লাগানো নিয়ে প্রতিবাদে কন্যাকুমারী ও নীলগিরি জেলায় শ্রমিকদের জন্য গলা ফাটাতেও দেখা গিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোকে।

সম্প্রতি, চেন্নাইয়ে অটোমোবাইল শিল্পেও শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এই শ্রমিক সংগঠনের সদস্য। শুধু শ্রমিকদের জন্যই নয়, সাধারণ মানুষের স্বার্থেও বছরের পর বছর ধরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাম সংগঠনগুলো। এর মধ্যে শিক্ষা, চাকরির দাবিও রয়েছে। গ্রামগুলোতে পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্যও সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বাম দল ও সংগঠনগুলোকে। সাধারণ মানুষের জন্য এই লড়াইয়ের জন্য বিজেপি সরকারের বেসরকারিকরণের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে বেশ কিছু শিল্প কারখানা। যার মধ্যে রয়েছে সালেম স্টিল প্ল্যান্ট।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in