

এবার পদ্ম পুরস্কার পাচ্ছেন চারজন বাঙালি। পদ্মবিভূষণ সম্মানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে ওআরএস-র জনক প্রয়াত বাঙালী চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ। তাছাড়া পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন জলপাইগুড়ি জেলার মঙ্গলকান্তি রায় ও ধনীরাম টোটো। দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে পদ্মশ্রীর জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রীতিকণা গোস্বামী। ২০২৩ সালে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর।
গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রয়াত হন গবেষক চিকিৎসক দিলীপবাবু। অনেকের মতে তাঁর প্রাপ্য সম্মান পেলেন। ১৯৬৬ সালে দিলীপবাবু রিহাইড্রেশন থেরাপির ওপর গবেষণা শুরু করেন। কলকাতার জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এ পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। সেখান থেকেই আবিষ্কার করেন ওআরটি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের কলেরা রোগ মোকাবিলায় বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে একটি ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছিলেন। কলেরাতে আক্রান্ত হয় তাঁরা। ওআরএস প্রয়োগ করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। স্যালাইনের সূচের মাধ্যমে নুন-চিনি-বেকিং সোডার জল রোগীর ধমনীতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন তিনি। নিজের কর্মীদের ৩ হাজার মানুষের ওপর এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। তাতে দেখা যায় শুধু স্যালাইনের ফলে যেখানে মৃত্যুহার ২০-৩০ শতাংশ ছিল, সেখানে ওআরটি দেওয়ার ফলে মৃত্যু হার কমে ৩ শতাংশে নামে। তাঁর এই প্রচেষ্টার পরই স্বীকৃতি পায় ORS।
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সূচিশিল্পী পদ্মশ্রী পাচ্ছেন তাঁর বিখ্যাত কাঁথা স্টিচের জন্য। নিজের দক্ষতায় বিভিন্ন নকশার মাধ্যমে সকলের মন জয় করেছেন। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর খ্যাতি।
জলপাইগুড়ি জেলার মঙ্গলকান্তি রায় হলেন সারিন্দা বাদক। এটি একটি বহু পুরনো বাদ্যযন্ত্র। এই বাদ্যযন্ত্রে তিনি পাখির ডাকের আওয়াজ করতে পারেন। ওই জেলারই আরেক ব্যক্তি ধনীরাম টোটো, তিনিও পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হতে চলেছেন। তিনি ওই অঞ্চলের টোটো জনজাতির ভাষার লিপির উদ্ভাবক। ওই লিপিতে একাধিক উপন্যাসও লিখেছেন।
পেশায় চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জনজাতিদের জন্য চিকিৎসা করেছেন। এমনকি নিজের অবসরের পরেও সেই কাজ করে চলেছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন