Lakhimpur Kheri: কৃষকদের পিষে মারার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের

সুপ্রিম কোর্ট আজ আট সপ্তাহের জন্য তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। তবে জামিনে থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি বা তার সংলগ্ন এলাকাতে থাকতে পারবেন না মন্ত্রীপুত্র।
আশিষ মিশ্র
আশিষ মিশ্রগ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে মারার ঘটনায় জামিন পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিষ মিশ্র। সুপ্রিম কোর্ট আজ আট সপ্তাহের জন্য তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের এই ঘটনায় ৪ জন কৃষক ও এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছিল।

 জামিনে থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি বা তার সংলগ্ন এলাকাতে থাকতে পারবেন না মন্ত্রীপুত্র। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে উত্তরপ্রদেশ ছাড়তে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আশিষ মিশ্র বা তাঁর পরিবারের কেউ সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে, মন্ত্রীপুত্রের জামিন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

২০২১ সালের ৩ অক্টোবর তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বালিতের দাবিতে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। সেই সময় তাঁদের উপর দিয়ে SUV চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ৪ জন কৃষক ও এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন আরও কয়েকজন। এই ঘটনার জেরে সৃষ্ট সহিংসতায় SUV চালক এবং দুই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। এরপর মন্ত্রীপুত্রকে গ্রেফতারির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা। চাপের মুখে পড়ে বেশ কয়েকদিন পর আশিষ মিশ্রকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

জামিনের জন্য তিনি প্রথমে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মন্ত্রীপুত্র। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে 'সমাজের কাছে খারাপ বার্তা যাবে' বলে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু বুধবার এই মামলায় ৮ সপ্তাহের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।

আশিষ মিশ্র
Lakhimpur Kheri: গাড়িতে গুলি, অন্যতম প্রধান সাক্ষীর প্রাণনাশের চেষ্টা, থানায় FIR দায়ের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in