এক সপ্তাহ পর লখিমপুর খেরির অশান্তির মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সকালে তাকে বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।
আজ শুনানি হওয়ার কথা। অভিযুক্ত আশিসকে টানা ১২ ঘণ্টা জেরা করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘সিট’। কিন্তু পর্যাপ্ত সহযোগিতা তার কাছ থেকে মেলেনি। অধিকাংশ প্রশ্নই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই অভিযোগে তাই ঘটনার সাতদিনের মাথায় তাকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবারই পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও সে সমন এড়িয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলেই এই সংক্রান্ত মামলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। ফলে চাপে পড়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। শনিবার সকালে কড়া পুলিশি পাহারায় আশিসকে আনা হয় লখিমপুর থানায়।
সিট-এর প্রধান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়াল রাতে জানান, তদন্তে অসহযোগিতা ও জেরায় সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগে আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী আশিস তার বাবার কেন্দ্রেই রাজনীতিতে সক্রিয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র ওই দিনের ঘটনার গতিবিধি সম্পর্কে অকাট্য প্রমাণ দিতে ব্যর্থ। দুপুর ২.৩৬ থেকে ৩.৩০-এর মধ্যে সে ঠিক কোথায় ছিল, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আশিসের গাড়িতে থাকা লব কুশ এবং আশিস পাণ্ডে নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আশিসকে জেরা করার সময় লখিমপুর শহরেই তার সংসদীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। রাতে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অজয় মিশ্রর দফতরের সামনে বহু বিজেপি সমর্থক জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। তাঁর বক্তব্য, আশিস কোনও দোষ করেনি। আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
প্রসঙ্গত, লখিমপুরের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও ছিল। তিনি এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।