এবারের হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় যোগ দিয়েছিলেন প্রায় সত্তর লক্ষ ভক্ত। শুক্রবার মেলা শেষ হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই মেলাই এবার করোনভাইরাসের 'সুপার-স্প্রেডার' হিসাবে কাজ করতে পারে। স্বাভাবিক সময়ে তিন মাস ধরে চলে কুম্ভমেলা। তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার কিছুটা দেরি করে ১ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মেলা চলাকালীন সেখানে আসা প্রায় দুই লক্ষ ভক্তের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে প্রায় ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
১২, ১৪ এবং ২৭ এপ্রিল তিনদিন ছিল শাহি স্নানের তারিখ। এবার কুম্ভমেলা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতীকী কুম্ভমেলার আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। হরিদ্বারের চিফ মেডিকেল অফিসার এসকে ঝা জানান, যেভাবে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে এই মেলার আয়োজন একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কুম্ভের মেডিকেল অফিসার অর্জুন সিং সেঙ্গার জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে জনসমাগম অনেক কম হলেও করোনাবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট ছিল। তিনি জানান, করোনা টেস্টের জন্য উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা এসেছিলেন। মোট ১,৯০,০৮৩ জনের টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৬৪২ জয়ের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
মেলার আয়োজকদের দাবি, পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে অন্যতম হরিদ্বারের কুম্ভমেলা এবার কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। মেলা মহাপরিদর্শক সঞ্জয় গুনজিয়াল বিষয়টিকে ১৯১২ সালের পর থেকে এই প্রথম বলে দাবি করেছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।