
ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছরে ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। একইসঙ্গে কুড়ি লক্ষ শিক্ষিত যুবকের কাজের ব্যবস্থা করা হবে। এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করল এলডিএফ বা বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
২০১৬ কেরল বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই(এম) নেতৃত্বাধীন এলডিএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৬০০টি কর্মসূচির। তারমধ্যে প্রায় ৫৮০টি প্রকল্প সম্পূর্ণ করেছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। তার প্রেক্ষিতে আগামী পাঁচ বছরে মানুষের উন্নয়নে আরও বেশি সংখ্যক কর্মসূচি আনার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে ইস্তেহারে। একইসঙ্গে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি রক্ষার শপথও নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে এলডিএফের আহ্বায়ক এ বিজয়রাঘবন বলেন, জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও উন্নয়নের প্রশ্নে এলডিএফ সরকারের নেতৃত্বে কেরল ফের দেশের শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতিও আদায় করেছে। নীতি আয়োগের মাপকাঠিতেও উন্নয়নের প্রশ্নে কেরল সবার আগে।
ইস্তেহারে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে অন্তত ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান করা হবে। এ বছরের বাজেটে বিশদে পরিকল্পনাও করা হবে। ২০ লক্ষ শিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থান করা হবে।
জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত পেনশন ধাপে ধাপে বাড়িয়ে মাসে ২৫০০ টাকা করা হবে। ২০১৬ সালের আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউডিএফ সরকারের আমলে এই পেনশন ৬০০টাকা ছিল।
বাড়ি তৈরিতে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ আড়াই লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা করা হবে। গত পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে অন্তত ২ লক্ষ ৮০ হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে।
গৃহহীন তফশিলি ও আদিবাসী পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান করা হবে। এবছরের মধ্যে অন্তত দেড়লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা গত ৫ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়কালে কেরলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানার সংখ্যা ৮২ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার। আরও ১ লক্ষ ৬০ হাজার শিল্প সংস্থা তৈরি হবে। এছাড়াও আরও ৬ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করে পর্যটন থেকে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
স্টার্ট আপ প্রকল্পের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯০০টি। রাজ্যে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০টি। আগামী ৫ বছরে অন্তত ১৫ হাজার স্টার্ট আপ প্রকল্প চালু হবে এই রাজ্যে। এই প্রকল্পে একলক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। সরকারি সহায়তায় চালু থাকা স্টার্ট আপগুলি লাভের মুখ দেখেছে। লাভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি টাকা। অথচ ইউডিএফ’র আমলে এই প্রকল্পগুলি ২১৩ কোটি টাকা ক্ষতিতে চলছিল।
ইলেকট্রনিক ও ওষুধ শিল্পকে কেন্দ্র করে কেরলে একটি বিশাল শিল্পতালুক গড়ে উঠবে বলে জানানো হয়েছে ইস্তেহারে।
গত চার বছরে ধাপে ধাপে ধান উৎপাদন বেড়েছে। এই সময়ে ধান উৎপাদনের জমির পরিমাণ ১ লক্ষ ৭০ হেক্টর থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২৩ হাজার হেক্টরে। একই সঙ্গে শাক-সবজি উৎপাদনেও কেরলকে স্বনির্ভর করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন