
বুধবার থেকে কেরালায় এল ডি এফ-এর প্রচারের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে ২ সপ্তাহের কেরালা যাত্রা। এদিন মানান্থাভাডি থেকে এই যাত্রার সূচনা করেন এলডিএফ-এর প্রধান মুখ সিপিআই(এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন। আগামী ২ সপ্তাহ ধরে রাজ্যের ১৪টি জেলায় ঘুরবে এই যাত্রা। এই যাত্রাপথে কেরালার উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হবে রাজ্যবাসীর সামনে। এদিন পিনারাই বিজয়ন এই যাত্রার সূচনা করে জানান – নব কেরলম-এ সুবিধাবাদী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো জায়গা নেই।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার পিনারাই বলেন - কিছু ভোটের জন্য বামেরা সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে আপস করবে না। আসন্ন ৬ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে কিছু আসনের জন্য সিপিএম-বিজেপির সমঝোতা নিয়ে এক বিজেপি নেতার করা মন্তব্য নিয়ে বলতে গিয়ে মঙ্গলবার এমনটাই জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
সম্প্রতি, বিজেপির জাতীয় প্রশিক্ষণ দপ্তরের কর্মী আর বালাশঙ্কর অভিযোগ করেন, সিপিআই(এম)-বিজেপির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা থাকা সত্ত্বেও চেঙ্গানুর আসন থেকে তাঁকে লড়তে দেওয়া হবে না। তিনি গত ২ মাস ধরে এই আসনের অধীনে থাকা এলাকার জন্য কাজ করেছেন। খ্রীষ্টান, মুসলিম-সহ এলাকার সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছেন তিনি। তারা সকলেই নির্বাচনে তাঁকে সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও চেঙ্গানুর থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি বলে রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
৬৭ বছরের বালাশঙ্কর দাবি করেছেন, রাজ্য নেতৃত্ব চায়না এই আসনটিতে জয়লাভ করতে। সেই জন্যই এই জায়গায় তুলনামূলক দুর্বল প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে। তাঁর জেতার সম্ভাবনা ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি স্থানীয় নেতাদের কাছে এখন নেতিবাচক হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, চেঙ্গানুরে এমন এক প্রার্থীকে দাঁড় করানো হয়েছে, যিনি সিপিআই(এম)-এর কাছের লোক। বালাশঙ্করের এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বিজয়ন জানিয়েছেন, '২০১৯ সালের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন হেরে গিয়েছেন। আমরা তাঁকে হারিয়েছি। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ি। আমরা কিছু ভোটের জন্য সাম্প্রদায়িক দলকে সমর্থন করি না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন