দেশে সংক্রমণের প্রায় অর্ধেক এখন কেরলে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কেন্দ্রবিন্দু কেরল। পিনারাই বিজয়নের সরকারকে সমালোচনা করতে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। কিন্তু আসল কারণ খতিয়ে দেখছে না কেউই। বিজয়ন সরকারের পরপর দু'বার ক্ষমতায় আসার অন্যতম কারণ ছিল কোভিড পরিস্থিতিকে কড়া হাতে মোকাবিলা করা। কেরল বলতে গেলে মডেল রাজ্য হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু ফের কেরলের করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। সেই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, সেরাজ্যে নমুনা পরীক্ষা অনেক বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।
প্রতি ৬ জনে একজন আক্রান্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। সেখানে অন্য অনেক রাজ্যে প্রতি ৩০০ জনের মধ্যে একজনকেও আক্রান্ত হিসাবে খুঁজে বের করতে পারেনি।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেন, 'কেরলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা সংকট মোকাবিলায় একেবারে সঠিক রাস্তায় হাঁটছি। আইসিএমআরের সেরো সার্ভে থেকে বোঝা গিয়েছে, আমাদের রাজ্যে কোভিড মোকাবিলার ব্যবস্থাপনায় কোনও গলদ নেই। কোনওদিন এক লক্ষ ৯৬ হাজার, কোনওদিন এক লক্ষ ৬৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, যা দৈনিক সর্বোচ্চ। আমরা সব আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে চাই। যত বেশি পজিটিভ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যাবে, তত বেশি দ্রুত করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তৃতীয় ঢেউয়ের কোনও সম্ভাবনাই তৈরি হয়নি। কিন্তু বেশি মাত্রায় পরীক্ষা হচ্ছে বলেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি করে ধরা পড়ছে।'
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, 'সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। কেরলে দ্বিতীয় ঢেউ দেরিতে শুরু হয়েছে।' পাশাপাশি রাজ্যে টিকার ঘাটতি আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। উল্লেখ্য, শনি ও রবিবার লকডাউন ঘোষণা করেছে কেরল। আইসিএমআরের সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিবডি তৈরিতে সবথেকে বেশি পিছিয়ে আছে কেরল। ভাইরোলজির বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং কোভিড ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য গগনদীপ কাঙেরের কথায়, 'কেরল কোভিড মোকাবিলায় অসাধারণ কাজ করেছে। কেরলকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বরং গোটা দেশে কেরল মডেল হিসেবে থেকে যাবে।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।