Oxygen Crisis: রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করছে কেরালা

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। প্রতিটি জেলাকে কোভিড মোকাবিলার জন্য পাঁচ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।
Oxygen Crisis: রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করছে কেরালা
Published on

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের আকাল সর্বত্র। অক্সিজেন না পেয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটছে, এই চিত্রের পাশাপাশি এক অন্য চিত্র দেখা গেল কেরলে। ওই রাজ্যে রোগীদের চিকিৎসার পরও উদ্বৃত্ত অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে অন্য রাজ্যকে। পিনারাই বিজয়ন সরকার তামিলনাড়ু, গোয়া, কর্ণাটককে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে। গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে টুইট করে কেরল সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পেট্রোলিয়াম এন্ড সেফটি এক্সপ্লোসিভস অর্গানাইজেশন জানাচ্ছে, কেরলে প্রতিদিন ১৯৯ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। প্রতিদিন ২০৪ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপন্ন করার ক্ষমতা আছে। কোভিড কেয়ার বিভাগে অক্সিজেনের চাহিদা দিন প্রতি ৩৫ মেট্রিক টন। নন কোভিড কেয়ারে লাগে ৪৫ মেট্রিক টন। সবকটা অক্সিজেন প্লান্ট একসঙ্গে কাজ করছে না। প্রয়োজন পড়লে সেক্ষেত্রে একশো শতাংশই প্ল্যান্ট কাজে লাগানো যাবে। তবে কেরলেও অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

সমীক্ষা বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকে ২৫ তারিখ নাগাদ ১০,৫০০ জন রোগীর জন্য রোজ ৫১.৪৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন দরকার হতে পারে। নন কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রেও ৪৭.১৬ মেট্রিক টন অক্সিজেন লাগবে। পাঁচদিন পর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১১,৫০০ তো। তখন অক্সিজেন লাগবে ৫৬.৩৫ মেট্রিক টন।

করোনা মহামারীর প্রথম পর্যায় পথ দেখিয়েছিল কেরলই। আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ভেন্টিলেটরের সংখ্যার দ্বিগুণ করা হয়। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। প্রতিটি জেলাকে কোভিড মোকাবিলার জন্য পাঁচ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পিনারাই বিজয়ন জানান, ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজন ভ্যাকসিন। সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বলা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি রাজ্যগুলিকে আরও আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দেবে।

শনি ও রবিবার কেরলে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পরিষেবা পাওয়া যাবে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কড়া শাস্তি পেতে হবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in