কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরিন্দ্রন
কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরিন্দ্রনফাইল চিত্র- সংগৃহীত

একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কেরল বিজেপির নেতৃত্ব, রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় বিজেপির

তদন্তের জন্য একটি ৩ সদস্যের স্বাধীন প্যানেল গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই মর্মে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
Published on

হাওয়ালা মামলায় বড়সড় চাপে কেরল বিজেপি। হাইওয়ে ডাকাতির ঘটনাটি হাওয়ালা মামলার অন্তর্গত। আর এই মামলাটি তদন্তের জন্য একটি ৩ সদস্যের স্বাধীন প্যানেল গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই মর্মে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা সিভি আনন্দ বসু, জ্যাকব থমাস ও এ শ্রীধরণ। দিল্লি থেকে আসা নির্বাচন বাবদ অর্থের হিসাব নিয়েও দলের বিভিন্ন নেতা ও প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে দলের টিকিটে লড়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার থমাস, দিল্লি মেট্রোর প্রাক্তন প্রধান শ্রীধরণ। কিন্তু তাঁরা এখন দলের সঙ্গে যুক্ত নন।

সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের পর থেকেই একের পর এক অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করেছে কেরল বিজেপির অন্দরে। রাজ্য নেতৃত্বের অবিলম্বে পরিবর্তনের দাবিও উঠেছে। ইতিমধ্যে কেরলের বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ৩.৫ কোটি টাকার হাইওয়ে ডাকাতির তদন্ত করছে কেরল পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই হাইওয়ে ডাকাতির হিসাব বহির্ভূত টাকাই নির্বাচনী ফান্ড হিসেবে ব্যবহার করেছে রাজ্য বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা সুরিন্দ্রণের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এছাড়াও আঞ্চলিক দল জনথিপাথএয়া রাষ্ট্রীয় সভার এক নেত্রী দলেরই প্রধান সিকে জানুর বিরুদ্ধে সুরেন্দ্রণের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা দাবির অডিও ফাঁস করে দিয়েছেন। এতে রাজ্য বিজেপির মুখ আরও পুড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্যানেল গঠন করে রাজ্যের হাওয়ালা মামলার রিপোর্ট চায় কেন্দ্রীয় বিজেপি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in