Kerala: দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারেই শৈলজা বাদ পড়েছেন - পিনারাই বিজয়ন

পিনারাই সাংবাদিকদের জানান – LDF সরকারে কাউকেই দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রী করা হবে না - এই সিদ্ধান্ত পার্টির। এই সিদ্ধান্ত অনুসারেই শৈলজা বাদ পড়েছেন। সরকারে আরও অনেক মন্ত্রী ছিলেন যারা গতবার ভালো কাজ করেছিলেন
পিনারাই বিজয়ন
পিনারাই বিজয়নফাইল ছবি সংগৃহীত

রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে কে কে শৈলজার বাদ পড়ার সিদ্ধান্ত পার্টির। এমনকি আমি যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি সেই সিদ্ধান্তও পার্টির। বুধবার সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন কেরালার এলডিএফ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই(এম) নেতা পিনারাই বিজয়ন।

গতকাল পিনারাই সাংবাদিকদের জানান – এলডিএফ সরকারে কাউকেই দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রী করা হবে না - এই সিদ্ধান্ত পার্টির। এই সিদ্ধান্ত অনুসারেই নতুন মন্ত্রিসভা থেকে কে কে শৈলজা বাদ পড়েছেন। সরকারে আরও অনেক মন্ত্রী ছিলেন যারা গত দফায় ভালো কাজ করেছিলেন। তাঁরা এবার বাদ পড়েছেন। সেখানে কোনো একজনের জন্য আলাদা নিয়ম হতে পারেনা। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে কে কে শৈলজার বাদ পড়া নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তাকে গঠনমূলক সমালোচনা হিসেবেই দেখছে দল।

প্রসঙ্গত, কেরালা বিধানসভা নির্বাচনে এলডিএফ-এর প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়েও প্রায় একই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সিপিআই(এম)। নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় যে সমস্ত দলীয় বিধায়ক পরপর দু’বার নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের বাদ দিয়ে এবার নতুন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। যে কারণে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন বিগত সরকারের অর্থমন্ত্রী আইজ্যাক টমাস, ই পি জয়রাজন, জি সুধাকরণ সহ একাধিক পরিচিত মুখ।

এবারের নির্বাচনে কে কে শৈলজা কান্নুরের মাট্টানুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৭ হাজারের বেশি ভোটে নির্বাচিত হন। বিগত কয়েক বছরে নিফা ভাইরাস, করোনা ভাইরাস দমনে কে কে শৈলজার ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিলো। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের এক বড়ো অংশের ধারণা সেই সাফল্যের কারণেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন কে কে শৈলজা। যদিও রাজ্যের নবগঠিত মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর বাদ পড়ায় কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। রাজ্যের বহু বুদ্ধিজীবী এবং বাম সমর্থকরা নবগঠিত মন্ত্রিসভায় কে কে শৈলজার অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।

এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম)-এর এক অংশের বক্তব্য – বিগত মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে কে কে শৈলজার দক্ষতা এবং ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকলেও সামগ্রিক ভাবে নিফা ভাইরাস, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের বাম সরকারের সঠিক পরিকল্পনার কারণে। বিগত পাঁচ বছরে রাজ্যের এলডিএফ সরকার যেভাবে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে জোর দিয়েছে তারই সুফল পাওয়া গেছে এবারের নির্বাচনী ফলাফলে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in