আশ্বিন পেরিয়ে কার্তিক মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্ষার দাপট কমছে না। বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি চলছে কেরলেও। বিপর্যস্ত অবস্থা দক্ষিণের এই রাজ্যের। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সে-রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। অধিকাংশই মারা গিয়েছেন বন্যার জলে ধস নেমে। নিখোঁজ বহু।
এই পরিস্থিতিতে দু’টি বড় নদীবাঁধের লকগেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল প্রশাসন। ফলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে দু’টি বাঁধের জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি পেরিয়ার নদীর বাঁধ ইদ্দুকি। অন্যটি ইদামালায়ার বাঁধ। এটিও পেরিয়ারেরই একটি উপনদীর উপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেরল ছাড়াও সোমবার উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, দিল্লি-সহ দেশের আরও ১০টি রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছেন দু’জন। হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশও রবিবার রাত থেকে সোমবার সারা দিন ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার কেরলের জলমন্ত্রী রসি অগাস্টিন জানান, ইদ্দুকি বাঁধের জলস্তর সোমবার সকাল ৭টায় ছিল বিপদসীমার মাত্র দু’ফুট নীচে। যেকোনও মুহূর্তে বিপদসীমা পেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলই। মঙ্গলবার সেই সীমা পেরিয়ে যায়। রসি বলেছেন, ‘ জলস্তর বাড়তে থাকলে বড় বিপদ হতে পারে। তাই ইদ্দুকির দু’টি গেট ৫০ সেন্টিমিটার করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ কিউবিক মিটার করে জল বেরিয়ে যাবে।’
পিনারাই বিজয়ন সরকার জানিয়েছে, মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যবাসীর। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্যের অধিকাংশ জেলা প্লাবিত, তার ওপর বাঁধের জল ছাড়লে বিপদ বাড়তে পারে। যদিও প্রশাসন মনে করছে সতর্কবার্তা মেনে চললে সাধারণ মানুষও ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে চলতে পারবেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।