কর্ণাটক: সেক্স ভিডিওতে মন্ত্রীর সাথে থাকা যুবতী নিখোঁজ, অপহরণের মামলা দায়ের পরিবারের

যুবতীর বাবার অভিযোগ, "মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই অশ্লীল ভিডিও তৈরি করতে বাধ‍্য করা হয়েছে" তাঁর মেয়েকে। তাঁর ওপর যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করে অনেক দূরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
রমেশ জারকিহোলি
রমেশ জারকিহোলিফাইল ছবি
Published on

যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও প্রকাশ হতেই গত ৩ মার্চ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের জলসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি। এর ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ২ মার্চ থেকে নিখোঁজ হন ভিডিওতে মন্ত্রীর সাথে দেখতে পাওয়া যুবতীকে। পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করলেন যুবতীর বাবা। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলাগাভির এপিএমসি ইয়ার্ড পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন যুবতীর বাবা। অভিযোগে তিনি জানান, ২ মার্চ থেকে তাঁর মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তাঁরা। এটা সেই দিন যেদিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে মন্ত্রী রমেশ জারকেহলির ভিডিও ক্লিপ দেখানো হচ্ছিল। যুবতীর বাবা জানিয়েছেন, ওই দিন থেকেই বেঙ্গালুরুতে যেখানে তাঁর মেয়ে পিজি থাকেন, সেখানে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে অনেক দূরে কোনো গোপন স্থানে বন্দি করে রাখা হয়েছে যাতে কেউ তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে না পারে।

তাঁর অভিযোগে তিনি আরও জানিয়েছেন, "মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই অশ্লীল ভিডিও তৈরি করতে বাধ‍্য করা হয়েছে" তাঁর মেয়েকে। তাঁর দাবি, নিখোঁজ হওয়ার আগে তাঁর মেয়ে পরিবারকে জানিয়েছিল যে তাঁর ছবি ব‍্যবহার করে যৌন সিডি তৈরি করা হয়েছে। তাঁর ওপর যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে।

পুলিশ ওই যুবতীর সন্ধান শুরু করেছে। এছাড়া দুই প্রাক্তন মিডিয়াপার্সনেরও সন্ধান করছে পুলিশ, যারা ওই মহিলাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও সিডি তৈরি এবং গণমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে একটি সংগঠিত গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী রমেশ জারকেহলিকে ব্ল‍্যাকমেইল করার অভিযোগ আনছে পুলিশ।

মন্ত্রিসভা থেকে পদত‍্যাগের পর জারকোহিলিও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, একটি গ‍্যাং তাঁকে ব্ল‍্যাকমেইল করে তাঁর কাছ থেকে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করছিল। তিনি জানিয়েছিলেন,‌ টাকা দিতে অস্বীকার করার পরেই ২ মার্চ সিডিটা মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়া হয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in