
কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার নাম চূড়ান্ত হয়েছে। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (KPCC) মহিলা শাখার সভাপতি পুষ্পা অমরনাথ এই দাবি করেছেন।
বুধবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুষ্পা বলেন, কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার নাম চূড়ান্ত হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই নাম ঘোষিত হবে।
তিনি আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা নিশ্চিত যে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। আমরা সিদ্দারামাইয়াকে আমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
কংগ্রেস নেত্রী বলেন, এই সিদ্ধান্তে সিদ্দারামাইয়াও খুবই খুশি। আমরা জানিনা কবে এবং কখন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। তিনি বলেন, শিবকুমার সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
বুধবার সকাল থেকেই সিদ্দারামাইয়ার বাড়ির সামনে তাঁর অনুগামীরা জড়ো হতে শুরু করে। সমর্থকদের মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। কিছু উৎসাহী সমর্থক সিদ্দারামাইয়ার ছবিতে দুধ ঢালেন।
সকাল থেকেই বড়ো সংখ্যায় সমর্থকরা সিদ্দারামাইয়ার বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ায় কর্ণাটক পুলিশের পক্ষ থেকে এক বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৭০-এর বেশি পুলিশ এই সময় দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ভোটের আগে এনডিটিভি এবং লোকনীতি-সেন্টার ফর দি স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ-এর পক্ষ থেকে করা জনমত সমীক্ষায় প্রথম স্থানে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, কর্নাটকের ৪০ শতাংশ ভোটারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদে পছন্দের মুখ হলেন সিদ্দারামাইয়া।
ওই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই। মোট ২২ শতাংশ ভোটার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বোম্মাইকে চেয়েছিলেন। ১৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, জেডি(এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামী।
জনমত সমীক্ষায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার এবং পঞ্চম স্থানে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যদিও ইয়েদুরাপ্পা আগেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন