রবিবারই ৫ দিন সম্পন্ন করেছে রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (আরটিসি) কর্মীদের ধর্মঘট। শতাধিক কর্মীকে ছাঁটাই সত্ত্বেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। কর্ণাটক স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট এমপ্লইজ লিগের সাম্মানিক সভাপতি কোদিহালি চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, সোমবার তালুক ও জেলা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভ দেখায়। সংস্থার কর্মীদের মনে এমনিতেই ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। সরকারের উচিত তাঁদের ডেকে অবিলম্বে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা।
তিনি বলেন, "ধর্মঘট নিষিদ্ধের আদেশ দিয়ে সরকার নিজের ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে এবং আরও তীব্র হবে। এর জন্য কেবল সরকারই দায়ী হবে।"
মোট ৪টি আরটিসি মিলে ২ হাআর ৬৬৩ টি বাস চালায়। এই চারটি আরটিসির তরফেই ২২টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাদের বাস ভাঙচুর করার জন্য। এছাড়াও ৫ হাজার ৮৩৬টি বেসরকারি বাস ও ১ হাজারটি আরটিসির বাস চলে রাজ্যে। কোদিহালি চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, নোটিস অনুসারে কাজ করতে না পারার কারণে রবিবারই ১২২ জন ট্রেনি বাস কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের সঙ্গে বসে এইসব শিক্ষানবিশ বাস কর্মীদের কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোমবার সকালের এই ধর্মঘটে সিটু সমর্থন জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।।
জানা গিয়েছে, এই ধর্মঘটের কারনে পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ পাস ও মান্থলি পাসের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ধর্মঘটের জন্য তাদের পাসের নির্দিষ্ট সময়সীমা নষ্ট হবে না।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।