জমি কেলেঙ্কারিতে বিপাকে সিদ্দারামাইয়া! রাজ্যপালের দেওয়া তদন্তের নির্দেশ বহাল কর্ণাটক হাইকোর্টে

People's Reporter: সিদ্দারামাইয়া জানান, আদালতের উপর আমার আস্থা আছে। এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

জমি কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ্যপালের দেওয়া তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কর্ণাটক হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু আদালত সিদ্দারামাইয়ার আর্জি খারিজ করে দেয়।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের নির্দেশের বৈধতা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু কর্ণাটক হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়।

হাইকোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া জানান, "আদালতের উপর আমার আস্থা আছে। আমাদের দলের সমস্ত বিধায়ক, নেতা, কর্মীরা এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব আমার পাশে দাঁড়িয়েছে ও আমাকে লড়াই চালিয়ে যেতে শক্তি দিচ্ছেন। বিজেপি এবং জেডিএস আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিয়েছে কারণ আমি দরিদ্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছি।"

তিনি আরও বলেন, "আমি তদন্তের সম্মুখীন হতে কোনও দ্বিধাবোধ করব না। আমি বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করব যে এই ধরনের তদন্ত আইনে অনুমোদিত কি না। আমি আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করব এবং লড়াইয়ের রূপরেখা নির্ধারণ করব। আমি নিশ্চিত যে সত্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বেরিয়ে আসবে এবং ১৭এ-এর অধীনে তদন্ত বাতিল করা হবে। আমি আইন ও সংবিধানে বিশ্বাস করি। এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে"।

প্রসঙ্গত, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। স্নেহময়ী কৃষ্ণ নামের এক সমাজকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি অবৈধভাবে বিলি করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সাথে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালক জড়িতে রয়েছেন। তাঁদের দু'জনকে বেআইনি ভাবে জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরই রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া
বদলাপুর যৌন নির্যাতনে মূল অভিযুক্তের 'এনকাউন্টার'! মহারাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকায় শাসক-বিরোধী চাপানউতোর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in