Karnataka: ধর্ষণে বাধা, বিবাহিতা মহিলাকে পুড়িয়ে হত্যা ইয়াদগিরে

সোমবার সকালে শাহাপুর টাউনের কাছে একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বালাম্মা নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয় কালবুর্গি হাসপাতালে। গঙাপ্পা নামে অভিযুক্ত চৌদেশোয়ারিহালা গ্রামের বাসিন্দা।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

কর্ণাটকের ইয়াদগির জেলায় ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ২৩ বছরের বিবাহিতা এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারা হল। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

সোমবার সকালে শাহাপুর টাউনের কাছে একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বালাম্মা নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয় কালবুর্গি হাসপাতালে। গঙাপ্পা নামে অভিযুক্ত চৌদেশোয়ারিহালা গ্রামের বাসিন্দা।

হাসপাতালে মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে সুরাপুরা পুলিশ মামলা রুজু করেছে। পলাতক অভিযুক্তকে ধরার জন্য বিশেষ দল গড়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে গঙ্গেপ্পার অনেকদিন ধরেই নজর ছিল বালাম্মার উপর। জোর করে অনেকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করা হয়। বাধা দিলে মারধরও করত।

তবে ওই মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানাননি। যদিও ব্যাপারটি গ্রামের বয়স্কদের নজরে পড়ায় তারা বৈঠক ডাকে। গঙ্গেপ্পাকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয় সে যেন ওই বিবাহিতা মহিলাকে বিরক্ত না করে।

কিন্তু ঘটনার দিন সকালে তাঁর স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলে গঙ্গেপ্পা তাঁর বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

বাধা দিলে নির্যাতন করে, গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পড়শিরা ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

গতমাসে ইয়াদগিরে এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। নির্যাতিতা রাস্তাপুরা রোডে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় তাকে অপহরণ করে কন্যাকোল্লুরের কাছে একটি খামারে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

অভিযুক্ত একটি ভিডিও তোলে, যেখানে দেখা যাচ্ছে চারপাঁচজন ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে আখের ডান্ডা দিয়ে মারছে। ঘন অন্ধকারের মধ্যে মহিলা বার বার তাকে ছেড়ে দিতে বললেও তাকে মারতে থাকে ওই লোকগুলি। ভিডিওটিতে দেখা যায় অভিযুক্তরা নির্যাতন চালানোর সময়ে সেল্ফিও তোলে। ওই মামলায় অবশ্য সব অভিযুক্তই ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।

- with Agency Inputs

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in